বুস্টার টিকায় নজর সরকারের, একদিনে দেওয়া হলো ১ লাখ ডোজ
করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নজর এবার টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে, গত একদিনে সারাদেশে প্রায় এক লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ পেয়েছে এক কোটি ৩১ লাখের বেশি মানুষ।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, দেশে কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। টার্গেটকৃত প্রায় সবাইকেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার আমাদের লক্ষ্য বুস্টার ডোজ কার্যক্রমকে গতিশীল করা।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমরা প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা পেয়েছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী টিকার বুস্টার ডোজ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য বলেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৮৬ লাখ ২ হাজার ১৯১ জন। দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ২০৫ জন। এছাড়াও দেশে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৩৩৭ জন বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার) সারাদেশে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৯০৮ জনকে, ৬০ হাজার ৭৪৩ জনকে দেওয়া হয়েছে দ্বিতীয় ডোজ। এছাড়াও এই সময়ে ৯৭ হাজার ২৫৭ জন পেয়েছেন বুস্টার ডোজ। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত ১ নভেম্বর থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ৯৯৫ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৫৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪৬ জনকে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এই পর্যন্ত ২১ লাখ ৭ হাজার ৪৬২ জন ভাসমান জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।
টিআই/এমএইচএস