এক জামাতে ৯ হাজার বন্দি, দুপুরে খাবেন রেজালা-রোস্ট
ঈদের একটি মাত্র দিন প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানোর জন্য শত ভোগান্তি পেরিয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যান সবাই। তবে কারাগারের বন্দিরা তা পারেন না। তাদের জন্য দিনটি আলাদা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে না পেলেও ভরপুর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে ঈদ কাটে তাদের।
সকাল ৭টায় মুড়ি আর পায়েস দিয়ে শুরু হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেরর বন্দিদের ঈদ উদযাপন। সকালে নামাজের আগেই তাদের প্রত্যেকের সেলে পৌঁছে যায় খাবার। মিষ্টিমুখ শেষে তারা কারাগারের ভেতরের মসজিদ ও খোলা মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ আদায় করেন। এবার এক জামাতে মোট ৯ হাজার বন্দি জামাতে নামাজ আদায় করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২ বছর করোনার প্রকোপ থাকায় বন্দিরা নিজ নিজ সেলে নামাজ আদায় করেছেন। তবে এবার কারাগারের মাঠে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে তাদের অংশ নিতে দেওয়া হয়েছে।
বন্দিদের খাবারে কী থাকছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের দিন বন্দিদের খাবারের জন্য ১৫০ ঢাকার বরাদ্দ থাকে। এদিন দুপুরে তারা পোলাও খাবেন। সঙ্গে থাকবে গরুর মাংসের রেজালা, মুরগির রোস্ট, সালাদ, সফট ড্রিঙ্কস ও মিষ্টি। রাতের মেন্যুতে থাকবে সাদাভাত, ডাল, ডিম ভুনা ও রুই মাছ।
কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারের বিধি অনুযায়ী বন্দিদের ঈদের খাবার দেওয়া হয়েছে। তবে বন্দিরা পরিবারের সদস্যদের আনা বাইরের খাবার ভেতরে নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে তারা বাইরের খাবার খেতে পারেন।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের দিনে কয়েদি ও হাজতিদের সঙ্গে দেখা করার বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে কারাগারগুলোতে।
এআর/আরএইচ