তেঁতুলতলা মাঠ : সৈয়দা রত্নার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ
রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার অন্যতম আন্দোলনকারী ও সমাজকর্মী সৈয়দা রত্নার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রোববার রাতে কলাবাগান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় রত্নাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক কর্মকর্তা।
মামলায় রত্নার বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। রোববার ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সৈয়দা রত্নাকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। রাতে একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
রত্নাকে গ্রেপ্তার ও মামলা হওয়ার বিষয়ে তার মেয়ে সৈয়দা শাগুফতা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ শুধু আমার মাকে নয়, ভাইকেও আটক করে রেখেছে। আমার ভাইয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আমার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারছি না। আমি চাই দ্রুত আমার মা আর ভাইকে পুলিশ মুক্ত করে দিক।
সকালে সৈয়দা রত্না ফেসবুকে লাইভে গিয়ে ওই মাঠটি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী এবং পোশাকধারী পুলিশ তাকে লাইভ করতে নিষেধ করেন।
এর পরপরই ওই পুলিশ সদস্যরা তার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নেন। সৈয়দা রত্নার লাইভের একটি অংশসহ এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একই ঘটনায় সমাজকর্মী সৈয়দা রত্নার ছেলেকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
রাতে রত্নার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী মামলার খোঁজ পাওয়া গেলেও সকাল থেকে আটকের বিষয়ে কোনো কিছুই বলেনি কলাবাগান থানা পুলিশ। রত্নার ছেলের হাজতে থাকার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ওই ছেলেকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না সেই সম্পর্কে কলাবাগান থানার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
গত ৩১ জানুয়ারি কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে তারকাঁটার বেড়া দেয় পুলিশ। এ মাঠে কলাবাগান থানার নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। তবে মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে কলাবাগান ও এর আশপাশের এলাকার ছেলে-মেয়েদের খেলার জায়গা হিসেবে পরিচিত। খেলার মাঠটি রক্ষায় বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল শিশু-কিশোররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না।
এমএসি/আরএইচ/জেএস