চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
চট্টগ্রামে ১৪২৯ সনের বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতারের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন।
শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া আজহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে গেল দুইবছর বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারিনি। এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ীসহ নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়াও বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান চলছে চট্টগ্রামের ডিসি হিল ও সিআরবিতে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির জাতীয় উৎসব। সবার যোগে জয়যুক্ত হোক শীর্ষক স্লোগানে সম্মিলিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন পরিষদ প্রতিবারের মতো এবারও ডিসি হিলে বর্ষবরণের আয়োজন করে। গান, কবিতা, নাচসহ বিভিন্ন পরিবেশনা চলছে ডিসি হিলে। সকাল ৭টায় ডিসি হিলে সংগীত ভবনের শিল্পীদের সমবেত গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নববর্ষের অনুষ্ঠান।
ডিসি হিলে নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজক আহমেদ ইকবাল হায়দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার কারণে গত দু বছর আমরা উৎসব করতে পারিনি। এবারও দুপুর ২টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। নববর্ষের উৎসবে বহু মানুষ শামিল হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিআরবির শিরীষতলায় এসো হে বৈশাখ গানের সুরে শুরু হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। সকাল সাড়ে ৮টায় বেহালার সুরে সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এরপর সংগীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, অদিতি সংগীত নিকেতন, সৃজামি, রাগেশ্রীসহ বিভিন্ন সংগঠন সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশনায় অংশ নেয়।
এবার চট্টগ্রামের পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টার মধ্যে শেষ করা হবে। বর্ষবরণের জন্য সকাল থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ভিড় করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কেএম/ওএফ