টিপ পরে মার্কিন দূতাবাসের নারীদের সংহতি
টিপ পরায় এক কলেজশিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় কপালে টিপ পরে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের নারী কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুকে কপালে টিপ পরা একটি ছবি পোস্ট করে সংহতি জানান নারী কর্মকর্তারা।
পোস্টে মার্কিন দূতাবাস লিখেছে, এ সপ্তাহে টিপ পরার জন্য একজন পুলিশ কর্তৃক এক শিক্ষিকা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশকারী সব বাংলাদেশির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সম্প্রদায় যোগ দিয়েছে। যেকোনো ধরনের হয়রানি অগ্রহণযোগ্য।
উল্লেখ্য, টিপ পরা নিয়ে শিক্ষিকাকে হেনস্তাকারী অভিযুক্ত কনস্টেবলকে এরই মধ্যে বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে যাতে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে এবং গাফিলতির কোনো অভিযোগ না ওঠে সেজন্য ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, অভিযোগ ওঠার পর থেকেই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখছে এবং অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। পুলিশ যে তদন্তে আন্তরিক, গাফিলতির সুযোগ নেই— এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তবে যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন, তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগকারীকে প্রমাণ করতে হবে আসলে ঘটনাটি ঘটেছে এবং পুলিশ সদস্য এতে জড়িত।
তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষিকা গত শনিবার অভিযোগ করেন, তেজগাঁও এলাকায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরিহিত এক ব্যক্তি তাকে উত্ত্যক্ত করেন। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে অভিযোগটি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।
এনআই/এসকেডি