প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৩ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ছাগল উন্নয়ন প্রকল্পের সীমানা দেয়াল নির্মাণের অর্থ আত্মসাতে দুদকের মামলায় ঠিকাদারসহ দুই কর্মকর্তাকে ১৯ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে তাদের ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। দুদকের পিপি মাহমুদুল হক মাহমুদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালের জুনে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক অজয় কুমার সাহা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন। রায়ে সর্বমোট ৩ ধারায় ১ বছর ৯ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তিন জনকে। এছাড়া ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ে দণ্ডিতরা হলেন- কাজের ঠিকাদার মো. মাহবুব আলম, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. আলী আকবর ও ছাগল উন্নয়ন কর্মসূচির ওই সময়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর আলেক মণ্ডল।
মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তিনজনকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে প্রত্যেকের তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দণ্ডবিধির ৪৭৭ ধারায় ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আদালত আরও এক মাসের কারাদণ্ডের কথা বলেছেন।
১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় প্রত্যেকের তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারী উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দারিদ্র্য বিমোচনে ছাগল উন্নয়ন প্রকল্পের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের কাজ না করে পরস্পর যোগসাজশে ১০ লাখ ২৯ হাজার ৫৮২ টাকার বিল তুলে আত্মসাৎ করায় ২০০৯ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
কেএম/এমএইচএস