৬ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে আকিবের পেটে রাখা হাড় প্রতিস্থাপন খুলিতে
টানা ছয় ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের মাথার খুলির হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল নয়টায় শুরু হওয়া অস্ত্রোপচারটি শেষ হয় বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ও অস্ত্রোপচার টিমের প্রধান ডা. এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা আকিবের অপারেশন সফলভাবে শেষ করেছি। আল্লাহর রহমতে সে ভালো আছে। সকাল নয়টায় আমরা অস্ত্রোপচার শুরু করি, যা শেষ হয়েছে বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে।
অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে এই নিউরোসার্জান বলেন, প্রথমে তার পেটে অপারেশন করে সেখানে রাখা হাড়টি বের করা হয়। এরপর মাথা খুলে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে হাড়টি যথাযথ স্থানে বসিয়ে নতুন করে রিপেয়ার করা হয়। আশা করছি দ্রুতই আকিব সুস্থ হয়ে উঠবে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আকিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর আজ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৩০ অক্টোবর প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্মক আহত হন আকিব। চিকিৎসকরা তখন জানিয়েছিলেন, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এরপর অস্ত্রোপচার করে তার মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়। মাথার ব্যান্ডেজে তখন লিখে রাখা হয়, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। ওই হাড় আরেকটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। সেই অপারেশনটি করার জন্য তাকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কুমিল্লার স্কুল শিক্ষক গোলাম ফারুক মজুমদারের দুই সন্তানের মধ্যে মাহাদী জে আকিব (২১) ছোট। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
কেএম/জেডএস