হরতাল হবে ‘জানতেন না অনেক রোগী’, পথে পথে ভোগান্তি
মো. জাহিদুল হক ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন তিনি। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার এ বাসিন্দা জানতেন না আজ হরতাল চলছে। এ কারণে হাসপাতালে পৌঁছাতে বেশ বিপাকে পড়তে হয় তাকে।
বারডেম হাসপাতালের প্রবেশ পথে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা হয় জাহিদুলের। তিনি জানান, আজ যে হরতাল এটাই জানতাম না। জানলে বের হতাম না। যাত্রাবাড়ী থেকে বাসে উঠেছি শাহবাগ আসব। বাসে ভাড়াও দিয়েছি। কিন্তু মতিঝিল আসার আগেই বাসের হেলপার বলল, গাড়ি আর যাবে না, হরতালের কারণে রাস্তা বন্ধ। সেখান থেকে কাকরাইল পর্যন্ত হেঁটে এসেছি। কাকরাইল থেকে বারডেম পর্যন্ত একশ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে। টাকাও গেল, হাঁটাও লাগল।
বারডেম হাসপাতালের সামনে কথা হয় হাবিবুর রহমান নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, মাকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে এসেছি। টিকাটুলি থেকে শাহবাগে আসতে সিএনজিই পাচ্ছিলাম না। অনেক কষ্টে সিএনজি পেলেও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে। হরতালে যত ক্ষতি সাধারণ মানুষের।
নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানোর তৎপরতা বন্ধের দাবিতে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ হরতালে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।
সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বাম জোটের ডাকা হরতাল সম্পর্কে অবগত ছিলেন না অনেক মানুষ। যারা অবগত ছিলেন তারা বিষয়টিকে আমলে নেননি। বাসা থেকে বের হয়ে হরতালের কারণে সাধারণ মানুষকে যানবাহন পেতে বিপাকে পড়তে হয়। ফলে গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত টাকা খরচসহ হেঁটে রওনা হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
বাংলামোটরে কথা হয় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, হরতাল শব্দটা তো বিলীন হয়ে গেছে। এখন মানুষ এসব মানেও না। কাজ করতে হবে এটাই বড় বিষয়। তবে সমস্যা হচ্ছে, হরতালের কথা বলে বেশি ভাড়া নিচ্ছে সিএনজি-রিকশাচালকরা। বনানী থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত অন্য সময় যে ভাড়ায় আসি আজ সিএনজিতে বাড়তি ১০০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে।
বাংলামোটর সিগনালে দায়িত্বরত ট্রাফিক (সার্জেন্ট) মোহাম্মদ মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হরতালের প্রভাব নেই বললেই চলে। সকাল থেকে এ সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এনআই/এসএসএইচ