গণপরিবহন সংকট, হরতালের প্রভাব ওয়াটার বাসে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ডাকা বাম গণতান্ত্রিক জোটের অর্ধদিবস দিবস হরতাল চলছে। হরতালকে ঘিরে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও জনজীবনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। সড়কে বাস কম থাকায় মানুষ ছুটছে বিকল্প ওয়াটারবাস, সিএনজি আর রাইড সার্ভিসে।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে বাসসহ অন্য সব যানবাহন আগের মতো চললেও সংখ্যায় ছিল কম। সেই তুলনায় অফিসগামী মানুষের সংখ্যা ছিল বেশি।
রাজধানীর কাওরানবাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. কামরুল ইসলাম। হরতালে গণপরিবহন কম থাকায় অফিসে যেতে তাকে পড়তে হয় দুর্ভোগে। রামপুরা ব্রিজ থেকে কিছুক্ষণ বাসে উঠার চেষ্টা করেন। পরে ওয়াটার বাসে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি, দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে অবশেষে গন্তব্যের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
তিনি বলেন, হরতাল মানেই সড়কে যানবাহনের সংকট, আর সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। আমরা কি করবো, আমাদের তো অফিস বন্ধ থাকে না। যানবাহন কম থাকলে অন্য সার্ভিসে ভাড়াও গুনতে হয় বেশি।
কামরুল ইসলামের মতো অসংখ্য মানুষকে ওয়াটারবাসের জন্য দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হরতালসহ যেকোনো সময়ই তাদের ওয়াটার বাসে নির্ভর করতে হয়।
রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অন্য যানবাহনের তুলনায় সড়কে রিকশার আধিক্য বেশি। তবে ভিক্টর, তরঙ্গ প্লাস, রাইদা পরিবহনসহ বেশকিছু বাসও চলছে।
মনসুর আলী নামের এক রিকশাচালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, হরতাল আসলে আমাদের ওপর চাপ বেড়ে যায়। সকাল থেকে দুই ঘণ্টা রিকশা চালিয়ে চারশ টাকা আয় করেছি।
সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বিজয় সরণি মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ব্যক্তিগত যানবাহন আর রাইড শেয়ারিংয়ের বাহনের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে বাম জোটের হরতালকে কেন্দ্র করে পুলিশসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত ১১ মার্চ পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। হরতালে বিএনপি, নাগরিক ঐক্যসহ বিভিন্ন সংগঠন সমর্থন দিয়েছে।
টিআই/এসএসএইচ