রপ্তানি চালানের মাধ্যমে প্রায় ২২ লাখ টাকা পাচারের অপচেষ্টা
একটি রপ্তানি চালানে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের অপচেষ্টা উদঘাটন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা পণ্য চালান আটক করেন এবং শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে টাকা পাচারের অপচেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চালানটি (বিল অব এক্সপোর্ট নম্বর সি-৪৮২৩৯৭) সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানির উদ্দেশে এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে কনটেইনারে পণ্য লোড করে। এ চালানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ বলেন, বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিকারক ঘোষিত ৩৮ হাজার ৩১১ পিস পণ্যের বিপরীতে ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা প্রাপ্তি হতো। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় ঘোষিত পণ্য থেকে বেশি পণ্য পাওয়া যায়। এতে পণ্য পাওয়া যায় ৮৩ হাজার ৩৫১ পিস।
তিনি বলেন, সঠিক ঘোষণা থাকলে ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ রপ্তানিকারক এ চালানের মাধ্যমে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের অপচেষ্টা করেছেন।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি পণ্য চালান রপ্তানি করে। এ পণ্য চালানগুলোর মাধ্যমে ঘোষণার অতিরিক্ত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ।
এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি অনুযায়ী কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
কেএম/এসএসএইচ