কারণ ছাড়াই যানজট বাড্ডা-প্রগতি সরণিতে
সকাল, বিকেল বা রাত নয়, যানজট এখন রাজধানীর প্রতিদিনের চিত্র। নিয়মিত যানজট সৃষ্টি হওয়া সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম বাড্ডা, রামপুরা, প্রগতি সরণি, কুড়িল সড়ক। এই সড়কগুলোর যানজট দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) সকাল থেকেই বাড্ডা-প্রগতি সরণি সড়কে তীব্র যানজট দেখা গেছে। ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের অভিযোগ, কোনো কারণ ছাড়াই এই সড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এই যানজটের তীব্রতা থাকে মধ্যে রাত পর্যন্ত।
সায়েদাবাদ থেকে নতুন বাজার এসে পৌঁছেছে রাইদা পরিবহনের একটি বাস। বাসটির চালক মকিদুর রহমান বলেন, পুরো সড়ক যতটা সময়ে এসেছি, সবচেয়ে বেশি সময় লেগেছে মালিবাগ রেলগেট থেকে রামপুরা বাড্ডা হয়ে নতুন বাজার পর্যন্ত আসতে। এই সড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যার কারণে আগের মতো বেশি ট্রিপ দেওয়া যায় না।
অফিসে যাওয়ার জন্য বাড্ডা হোসেন মার্কেটের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন জাহিদ আহমেদ। যাবেন কাকরাইল। তিনি বলেন, এই সড়কে প্রতিদিনই যানজটে পড়তে হচ্ছে। আবার অফিস টাইমে বাসগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আসে। তাই মাঝ পথ থেকে বাসে উঠাই যায় না। যানজটের কারণে খুব ধীরগতিতে যানবাহন চলে। তাই অনেক সময় অফিসে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়।
এই সড়কসহ আশপাশের এলাকায় নিয়মিত রিকশা চালান নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, মূল সড়কের যানজটের পড়েছে অলিগলিতে। বিশেষ করে মেরুল বাড্ডা থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে তীব্র যানজট লেগে থাকে প্রতিদিনই। শুধু শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই সড়ক কিছুটা ফাঁকা থাকে। তবে বিকেলের পর আবারও যানজট শুরু হয়।
বাড্ডা-প্রগতি সরণির দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, যানজট বেশি হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সড়কটিতে রিকশা চলাচল করে। যার কারণে অন্যান্য যানবাহনগুলোর গতি কমে যায়। ফলে পেছনের দিকে যানজট সৃষ্টি হয়।
অন্য কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সড়কে অনেকগুলো স্থান আছে, যেসব জায়গা দিয়ে যত্রতত্র পথচারীরা সড়ক পারাপার হন। এতে যানবাহনগুলোর গতিতে বাধা সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, বাড্ডা লিংক রোডের সামনে ট্রপিকাল সেন্টারের সামনে ইউটার্ন আছে। যেখানে গাড়িগুলো ঘুরে লিংক রোডের দিকে ঢুকে। সেই সিগন্যালের কারণেও সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়।
এএসএস/এমএইচএস