বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় ইরাকি এয়ারওয়েজ
বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইরাকের জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ সংস্থা ইরাকি এয়ারওয়েজ। সম্প্রতি ঢাকা-বাগদাদ রুটে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে একটি চিঠি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এয়ারলাইনস সংস্থাটি।
চিঠির জবাবে বেবিচক ইরাকি এয়ারওয়েজকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফের আবেদন করতে বলেছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আমরা ইরাকি এয়ারওয়েজের চিঠি পেয়েছি। তারা ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা জানিয়েছি, তারা যেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাদের কাছে আসে। এরপর অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’
এর আগে ২০১৫ সালে মৌখিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল ইরাকি এয়ারওয়েজ। তবে এবারই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে।
এদিকে প্রায় ১১ বছর পর বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ।
এবিষয়ে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে ফ্লাইটের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা ব্রিটিশ হাইকমিশনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার জন্য জানিয়েছি।’
বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার ‘গারুদা ইন্দোনেশিয়া’, ইরানের ‘ইরান এয়ার’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কোরিয়ান এয়ার’ বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে তাদের আনুষ্ঠানিক আবেদনপত্র এখনো বেবিচকে আসেনি।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আয়েটার) সমীক্ষা অনুসারে, ২০৩৬ সালে বিশ্বে আকাশপথে যাত্রী দ্বিগুণ হলেও বাংলাদেশে তা হবে সাড়ে তিনগুণ।
যাত্রী ও ফ্লাইট বাড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে এরইমধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের পাশাপাশি ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখার অ্যাপ্রোন (পার্ক করার জায়গা), এক হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখার সুবিধা ও ৬৩ হাজার বর্গফুট জায়গায় আমদানি-রফতানি কার্গো কমপ্লেক্স থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনাল ভবনে বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ চেক-ইন (স্ব-সেবা) কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। বহির্গমনে ৬৪ ও আগমনি যাত্রীদের জন্য ৬৪টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকছে। এছাড়া ২৭টি ব্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ১১টি বডি স্ক্যানার, ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ ও ১৬টি লাগেজ বেল্ট থাকবে।
স্বাভাবিকভাবে শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে দৈনিক ১৩০টি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এই বিমানবন্দর বর্তমানে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীধারণের ক্ষমতা রাখে। তৃতীয় টার্মিনাল হওয়ার পর শাহজালালের যাত্রীধারণ ক্ষমতা বেড়ে বছরে দুই কোটিতে পৌঁছাবে।
এআর/ওএফ/জেডএস