ডোপটেস্টের নামে চালকদের হয়রানি বন্ধের দাবি
পেশাদার চালকদের স্বল্পমূল্যে ডোপটেস্টের জন্য সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থাপনা করা ও ডোপটেস্টের নামে চালকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
রোববার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিবহন চালকদের ডোপটেস্টের নামে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এতে করে চালকদের অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে। একজন চালকের লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন করতে হলে ডোপটেস্টসহ চালকদের ৫-৬ দিন বিআরটিএ ও হাসপাতালে যাওয়া আসা করতে হয়। যার ফলে চালকরা যথা সময়ে লাইসেন্স হাতে না পাওয়ায় চাকরি হারাচ্ছেন এবং পুলিশের অহরহ মামলার শিকার হচ্ছেন, জরিমানা দিচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক জেলায় এখনও ডোপটেস্ট করা শুরু করেনি এবং তাদের সেই সক্ষমতাও নেই। আমরা আবেদনে বলেছিলাম ডোপটেস্ট কেবলমাত্র পেশাদার চালকদের হবে? পেশাদার এবং অপেশাদার চালকরাই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। শুধু পেশাদার চালকদের ডোপটেস্ট করলেই আসল উদ্দেশ বাস্তবায়ন হবে না। দেশে মাদক বিক্রি ও খাওয়ার লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, অপরদিকে ডোপটেস্টের নামে হয়রানি করা হচ্ছে, এটা কেমন নীতি? তাই দেশের সব সরকারি হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থাপনা তৈরি করলে চালকরা এ হয়রানির শিকার থেকে বাঁচতে পারবে।
বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে সড়কে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং সড়ক নির্মাণে ত্রুটি বন্ধ করতে হবে। চালকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সড়ক পরিবহন আইন ও ব্যবস্থা চালু করতে হবে। সড়কে ডিভাইডার ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে এবং মহাসড়কের পাশে ছোট যান চলাচল করার জন্য বাইলেন/সার্ভিসলেন চালু করতে হবে, তাহলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন— ফেডারেশনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন মুজিব, জয়নাল আবেদীন শান্ত, আনোয়ার হোসেন, বাচ্চু মিয়া, জামিরুল ইসলাম ডালিম, বেল্লাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এসএসএইচ