বাংলাদেশি সেই নাবিকদের বাংকারে নেওয়া হবে
চলমান সংকটে ইউক্রেনে রকেট হামলার শিকার বাংলাদেশি জাহাজে থাকা নাবিকদের পোল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নিকটবর্তী কোনো বাংকারে নিয়ে যাওয়া হবে।
ঢাকা পোস্টকে এমনটি জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক (শিপ পার্সোন্যাল) ক্যাপ্টেন আমীর মো. আবু সুফিয়ান।
তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রেডক্রস বা অন্য কোনো সংস্থার জরুরি পরিবহনের মাধ্যমে তাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হবে। আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যেই সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিএসসি মহাব্যবস্থাপক বলেন, আমাদের পোল্যান্ড অ্যাম্বাসি কাজ করছে। নিকটবর্তী কোনো বাংকারে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে বর্ডার পাস করার চেষ্টা করা হবে। এখন বলতে পারি, জাহাজ থেকে বের করে তাদের জেটিতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ল্যান্ডে নেওয়ার পরিবহন কনফার্ম করতে পারলে আমরা নাবিকদের নামিয়ে ফেলব। লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া ডিফিকাল্ট। তাদের জেটিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। এখন পোল্যান্ড দূতাবাসের মাধ্যমে বাকি কাজ করা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা দুপুর ১২টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমাদের শিপিং করপোরেশনের মতামত ও জাহাজ থেকে নাবিকদের নিরাপদে নামিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চিঠি দিয়ে দিয়েছি। এখন পোল্যান্ড দূতাবাস বিষয়টা দেখবে।
তিনি বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে আজ যোগাযোগ হয়েছে। তারা অস্থির হয়ে আছেন। তারা চিন্তায় আছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনারা বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানের কারণে বাংলার সমৃদ্ধি নামে বাংলাদেশি জাহাজটি ইউক্রেনে আটকে পড়ে। ওই জাহাজে স্থানীয় সময় বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে হামলা হয়। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান।
হামলায় বাকিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নাবিকরা ভিডিও কলে উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন। শিপিং করপোরেশন আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে, আটকে পড়া নাবিকদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ওই জাহাজে এখন ২৮ জন বাংলাদেশি নাবিক রয়েছেন। জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা আছে। বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।
অলভিয়া থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। চলমান অস্থিরতা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরপরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং করপোরেশন। তবে ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের জাহাজটি।
কেএম/আরএইচ/জেএস