মোটা চাল ৫২ তেল ১৬৮ তবু বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে, দাবি মন্ত্রীর
মোটা চালের কেজি ৫২ টাকা, ১৬৫-১৬৮ টাকা লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি। চাল, ডাল, তেল, ওষুধসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতারা বলছেন, বাজারে আগুন, জীবন চালানো দুর্বিষহ। তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান দাবি করেছেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন।
বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
মূল্যস্ফীতি বাড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েই মন্ত্রী বলেন, জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। ভারত এবং যুক্তরাজ্যের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি কম।
এম এ মান্নান বলেন, বাজারে ক্রেতা ঢুকেছে, মাল কিনেই বের হচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সিলেটে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম ট্রাকে ট্রাকে মাল বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রপ্তানির বাজারে শ্রম ও পণ্যের বাজারও ইতিবাচক। সার্বজনীন পেনশন সকল সব মহলে সাড়া ফেলেছে।
চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইস্যুতে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সব থেকে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে মোট ব্যয় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো প্রভাব পড়বে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী রাশিয়ার প্রশংসা করে বলেন, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা শান্তিকামী দেশ। তবে রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করেছে।
যুদ্ধে শেয়ারবাজারে প্রভাব পড়েছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, শেয়ারবাজারে আমার বিনিয়োগ নেই। এটা নিয়ে কম জানি। তবে কিছুটা ওঠানামা করেছে বলে শুনেছি। বাজার নেমেছিল, আবার বেড়ে উঠেছে।
এসআর/এইচকে