শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ২১ বছর পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আজিজুল হক। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে রানা, শাহনেওয়াজ, রুমন নামেও পরিচয় দিতেন।
এক ক্ষুদে বার্তায় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোটালীপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন আজিজুল হক।
তার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবে সিটিটিসি।
ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার সময় কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা হয়। বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয়। শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা সেদিন আহত হন।
ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখন সাতক্ষীরার আদালতে নালিশি অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেয়।
ওই মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। তদন্ত শেষে তখনকার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনের পৃথক ধারায় দেওয়া তিনটি অভিযোগপত্রের মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ে ৫০ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজায় দেয় সাতক্ষীরার আদালত।
এর মধ্যে কারাগারে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব এবং পলাতক আরিফুর রহমান ও রিপনকে কয়েকটি ধারায় দুই বছর ছয় মাস, ৫ বছর, ১ বছর, ছয় মাস এবং এক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এক ধারার সাজা শেষ হওয়ার পর অন্য ধারার সাজা শুরু হবে। তাতে সব মিলিয়ে তাদের ১০ বছর সাজা খাটতে হবে।
এআর/এইচকে