সাংবাদিকদের অবশ্যই ট্রমা-সচেতন হতে হবে
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা শুধু শারীরিক নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সহিংসতা, সংঘাত, বিপর্যয় ও ট্র্যাজেডি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য মানসিক আঘাত থেকে সুরক্ষাও জরুরি। সহিংসতা ও ট্র্যাজেডির শিকার ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার এবং নিউজ কাভার করার সময় সাংবাদিকদের অবশ্যই ট্রমা-সচেতন হতে হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা-এর সহযোগিতায় সেন্টার ফর কমিউনিকেশন অ্যাকশন বাংলাদেশ (সি-ক্যাব) আয়োজিত ‘সংকটকালীন সাংবাদিকতা: ট্রমা ও সাংবাদিকের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন ডার্ট সেন্টার এশিয়া প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. কেইট ম্যাকমান।
তিনি বলেন, যে সাংবাদিকরা ট্রমাজনিত ঘটনাগুলো কাভার করেন তাদের মধ্যে নানা ধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক। যেমন: মেজাজের পরিবর্তন (মুড সুইং), নিদ্রাহীনতা, বিষণ্নতা এবং বিভ্রান্তি। যা দীর্ঘমেয়াদে তাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু সামাজিক এবং পেশাগত সাপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং নিজেই নিজের মানসিক যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
সি-ক্যাবের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জেইন আল-মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে নিউজরুমের উচিত মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের জন্য নির্দেশিকা এবং সহায়তার ব্যবস্থা করা। স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য সি-ক্যাব ট্রমা সাংবাদিকতা নিয়ে সচেতন করতে নিউজরুমের সাথে কাজ করবে। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের জন্য ডার্ট সেন্টারের তৈরি ট্রমা রিসোর্সগুলোর আদলে গাইডলাইন তৈরি করেছে সি-ক্যাব।
ওয়েবিনারে আরও যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনের হেড অব মিডিয়া ফ্রান্সেস জ্যাকস, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, প্রথম আলো পত্রিকার ইংরেজি বিভাগের প্রধান আয়েশা কবির এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের মিডিয়া স্ট্যাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক জুড ডব্লিউ জেনিলো। এছাড়াও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইনের প্রায় ৯০ জন সাংবাদিক ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।
এমএইচএন/এনএফ