সাংবাদিকতায় একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে
মূলধারার সাংবাদিকতায় মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা নিয়ে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস-এর আয়োজনে মোবাইল জার্নালিজম (মোজো) শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির। গেস্ট অব অনার ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ-এর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. অলিউর রহমানের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস-এর ডিন অধ্যাপক গোলাম আহমেদ ফারুকী এবং ঢাকা পোস্ট সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার। এতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক ও মোবাইল জার্নালিজম স্পেশালিস্ট ড. কাবিল খান জামিল মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, জার্নালিজম আমাদের কমিউনিটি ও সোসাইটির জন্য। আর সোসাইটিতে একটা বড় ধরনের জেনারেশনাল চেঞ্জ হয়েছে। এই পরিবর্তনটা আমরা কেউ আটকে রাখতে পারিনি। জেনারেশনের চাহিদায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো এই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। এর সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এর ফলে সাংবাদিকতায় একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এখানে কে কার আগে তথ্য দিতে পারে সেটাই মুখ্য। আর এখানেই মোবাইল জার্নালিজম একটা হাতিয়ার হিসেবে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ-এর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে নতুন নতুন টেকনোলজির ফলে আমরা সাংবাদিকতার যতটা পরিবর্তন হবে ভেবেছিলাম, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান মহামারির কারণে সাংবাদিকতায় পরিবর্তনটা আরও বেশি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের মূল ধারার গণমাধ্যমকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছে। তবে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না।
ঢাকা পোস্ট সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার বলেন, বদলে যাওয়া সাংবাদিকতার সবশেষ ভার্সন হচ্ছে মোজো। বিশেষ করে আমরা যারা অনলাইন প্লাটফর্মে সাংবাদিকতা করছি, তাদের জন্য মোবাইল জার্নালিজম একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা এখন মোবাইল জার্নালিজমের কলাকৌশল ব্যবহার করছি। বর্তমানে আমাদের পাঠক শ্রেণিও মোবাইল বেজড। শতকরার হিসেবে যা ৯০ শতাংশের বেশি।
মূল প্রবন্ধে ড. কাবিল খান জামিল বলেন, আধুনিক সাংবাদিকতাকে যদি আমরা মূল্যায়ন করি তাহলে দেখা যাবে যে, মোবাইল প্রযুক্তি ও মোবাইল ডিভাইস এবং সোশ্যাল মিডিয়া- এই দুটি বিষয়ের বিবর্তন প্যারালালি হয়েছে। এই দুটি বিষয় তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। সাংবাদিকতাতেও প্রতিনিয়ত এর ব্যবহার বাড়ছে। এর ফলে সংবাদ সংস্থাগুলো কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করবে এবং সংবাদ পরিবেশন করবে সেটি নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কে. এম. ওয়াজেদ কবির এবং সমাজবিজ্ঞান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আবুল হোসেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শামীম মন্ডল। মিডিয়া পার্টনার ছিল জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট।
এনএফ