কারিকুলামে গণমাধ্যম সাক্ষরতা অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ কমিশনের

দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা কারিকুলামে গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
শনিবার (২২ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশনের সুপারিশে এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের (সমমানের মাদ্রাসাসহ) গণমাধ্যম সাক্ষরতা সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শ্রেণিকক্ষে নানা ধরনের ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং সেশনের আয়োজন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ের গবেষক ও চিন্তকদের এসব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান/এনজিও এবং একাডেমিয়ার মিলিত উদ্যোগে এ কার্যক্রম নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন
এতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অন্যান্য শ্রেণি, পেশা, লিঙ্গ, বয়স এবং ভৌগোলিক অবস্থানে থাকা মানুষের গণমাধ্যম সাক্ষরতা বাড়ানোর জন্য বিনামূল্যে অনলাইনে স্বল্পমেয়াদি কোর্সের আয়োজন করা যেতে পারে। এ নিয়ে ব্যাপক ভিত্তিতে প্রচার ও ক্যাম্পেইন চালাতে হবে। এ কাজে মোবাইল ফোনে বার্তা প্রেরণ থেকে শুরু করে সব ধরনের মাধ্যমই ব্যবহার করতে হবে। এতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী (যেমন– পিছিয়ে থাকা নারী, গ্রামের অধিবাসী, সমতল ও পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠী) এ ব্যাপারে দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন।
এ ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে নিয়োজিত যোগাযোগ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে, যাতে তারা গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ে স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করতে পারেন। স্থানীয় পর্যায়ের (পাড়া, মহল্লা, এলাকা) সামাজিক সংগঠনগুলোকে (ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব) সক্রিয় করতে হবে। এদের মাধ্যমে এলাকাবাসীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে এবং প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন বয়সী মানুষের জন্য গণমাধ্যম সাক্ষরতা বিষয়ক আলোচনা এবং শিক্ষাবিনোদন (এডুটেইনমেন্ট) মডেলে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে। গণমাধ্যম সাক্ষরতার পদ্ধতি, ফলপ্রসূকরণ, মূল্যায়ন ইত্যাদি নিয়ে আরও গবেষণালব্ধ-জ্ঞান প্রয়োজন। এ বিষয়ে গবেষণা আরও বাড়াতে গবেষণাকর্মে প্রণোদনাদানের জন্য সরকার উদ্যোগ নিতে পারে।
এমএম/এসএসএইচ