শুক্রবার শেষদিনের বইমেলা শুরু বেলা ১১টায়, থাকবে শিশুপ্রহর

বিদায়ের সুর বাজছে অমর একুশে বইমেলাজুড়ে। আগামীকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেষ হচ্ছে এ বছরের আয়োজন। পর্দা নামার দিন সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় মেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া ভেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় থাকবে শিশুপ্রহরের আয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ এর সদস্য-সচিব ড. সরকার আমিন।
বিজ্ঞাপন
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) মো. মফিদুর রহমান।
এসময় কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০২৫, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪, চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
অন্যদিকে, আজ ছিলো বইমেলার ২৭তম দিন। নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ১৭৬টি। মেলা শুরু হয় বিকেল ৩টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘একটি অভ্যুত্থানের জন্ম ও আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রেজাউল করিম রনি। আলোচনায় অংশ নেন সৈয়দ নিজার। সভাপতিত্ব করেন কাজী মারুফ।
প্রাবন্ধিক বলেন, ইতিহাসে অনেক আন্দোলনকেই খুব গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তেমনি আমাদের দেশের সাম্প্রতিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থান গোটা জাতির জন্য নতুন অভিজ্ঞতার জন্ম দিয়েছে। একটি প্রজন্মের ঐতিহাসিক কর্তাসত্ত্বা হিসেবে আত্মপ্রকাশের অভ্যুত্থান ছিল এটা। অত্যাচার, লুটপাট ও অনাচার সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ তৈরি করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় রাজনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে। নাগরিক অধিকার ভিত্তিক একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এই আন্দোলনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আর কোনো পথ আমাদের সামনে খোলা নেই।
আলোচক বলেন, স্বতঃস্ফূর্ততা ও কাঠামোগত দিক থেকে মিল থাকলেও অভ্যুত্থানের প্রথাগত ধারণার সঙ্গে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের ভিন্নতাও রয়েছে। নাগরিক হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকার ও মত প্রকাশের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে প্রতিনিয়ত। এ কারণে নাগরিক অধিকারভিত্তিক বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এই অভ্যুত্থানের একটি দার্শনিক ভিত্তি দাঁড় করাতে হবে। রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক কী হবে তা নতুনভাবে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী মারুফ বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের একটি বহুত্ববাদী রূপ রয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের ভিন্ন আকাক্সক্ষা, ভিন্ন স্বপ্ন নিয়ে এই অভ্যুত্থানে সামিল হয়েছিলেন। ফলে মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ছাপিয়ে চব্বিশের আন্দোলন নিজেই একটি আলাদা সত্ত্বা হয়ে উঠেছে।
এছাড়া আজ লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সায়ীদ আবু বকর, কবি মিতা আলী এবং কবি, সম্পাদক ও শিশুসাহিত্যিক জামসেদ ওয়াজেদ।
এসএম