প্রকাশিত হলো আতিক ফারুকের ‘কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি’
অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ উপলক্ষে পুনরায় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হলো কবি ও গদ্যকার আতিক ফারুকের দিনলিপি বিষয়ক বই ‘কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য। মূদ্রিত মূল্য ২০০ টাকা। বইমেলায় প্রজন্ম পাবলিকেশন-এর ৮ নং স্টলে পাওয়া যাবে।
‘কতিপয় বৃহস্পতিবার দিনলিপি’ আতিক ফারুকের ষষ্ঠ বই। পরপর পাঁচটি গদ্যের বইয়ের পর এবার প্রকাশিত হচ্ছে তার দিনলিপি বিষয়ক বই। সমকলীন লেখকদের দিনলিপির বই প্রকাশ হওয়াটা বাংলা সাহিত্যে বিরলই বলা যায়। দিনলিপিতে সবসময় লেখকের আত্মকথার স্মারক ও জীবনের কতিপয় কথা উঠে আসে। একজন লেখক কবির দিনযাপন কেমন হয় সেটাই প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে দিনলিপির পাতায়। দিনলিপির এই বইতে অন্য এক আতিক ফারুককে খুঁজে পাওয়া যাবে। ব্যক্তিগত আলাপের পাশাপাশি সমাজভাবনা ও রাজনীতি আলাপেও তাকে কথা বলতে দেখা যাবে।
এখানে লেখক ভিন্ন এক গদ্যভাষা আবিষ্কার করেছেন। যেখানে তিনি তার পাঠককের জন্য সহজ সরল প্রাঞ্জল ও ঋজু ভাষায় লিখে গেছেন। দিনলিপি লেখার তাগিদ দিতে যেয়ে বলেছিলেন, ‘দিনলিপির ভাষা হতে হবে সহজ সরল। দিনলিপি চর্চা করুন। সহজ ভাষায় নিজের দৈনন্দিন কথাগুলো লিখে রাখুন।’, দিনলিপি চর্চা আমাদের লেখালেখির ভিত্তি বলা যায়। এখানে নানাভাবে নিজের যাপিত ঘটনাগুলো তুলে রাখা যায়। আস্তে ধীরে চর্চার মাধ্যমে একজন নবীন লেখক হয়ে ওঠেন আর লেখকরা হয়ে উঠেন শক্তিশালী লেখক।
এমন অনেক নবীন আছেন যারা কি লিখবো কি লিখবো না করে করে লেখা শুরু করতে পারেন না। অনেকে হয়ত জানেনও না দিনলিপি কেমন হয়। তাদের জন্য দিনলিপির এই বইটা হতে পারে অবশ্য পাঠ্য। জীবনের বহমান বহুরূপ লেখায় সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে—‘কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি’।
লেখকের প্রকাশিত বইসমূহ, এখানে আরেকটু রোদ (মুক্তগদ্য, বুকিশ পাবলিকেশন, ২০১৯), ধুলোপথে হাওয়া (মুক্তগদ্য, বেহুলাবাংলা ২০২১), বুনোফুলের দিন (মুক্তগদ্য, পুনরায় প্রকাশন ২০২১), মেহেরুন প্রিয়তম ফুল (মুক্তগদ্য, চন্দ্রবিন্দু ২০২১), যেকোন স্মৃতির পাশে (মুক্তগদ্য, দারুল ইলম ২০২২)
এনটি