করোনামুক্ত হলেও যেসব সমস্যা থেকে যেতে পারে
করোনামুক্ত হওয়ার পরই যে আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেছেন, এমনটা ধরে নেওয়া যাবে না। টেস্টে নেগেটিভ আসা মানে হলো আরেক লড়াইয়ের পর্ব শুরু হলো। করোনা থেকে সেরে ওঠার পর শরীরে অনেক ধরনের জটিলতা থেকে যেতে পারে। কিছু উপসর্গ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে সময় ও যত্নের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, করোনামুক্ত বেশিরভাগের ক্ষেত্রে একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। জেনে নিন সেরে ওঠার পরও যে সমস্যাগুলো থেকে যেতে পারে-
করোনা পরবর্তী কাশি
করোনা নেগেটিভ আসার পরেও ইনফেকশনের কারণে অনবরত কাশির সমস্যা থেকে যাচ্ছে অনেকের। শরীর থেকে করোনাভাইরাস চলে যাওয়ার পরও প্রায় চার সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে কাশি। এরকম হলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কাশির সিরাপ খেতে পারেন। গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। ভেষজ চা পান করুন। উদ্বিগ্ন হবেন না, এটি ধীরে ধীরে সেরে যাবে।
জয়েন্ট ও পেশীতে ব্যথা
করোনা থেকে সেরে উঠলেও শরীরে এক ধরনের অস্বস্তি থেকে যেতে পারে। ভীষণ ক্লান্তিবোধ হতে পারে। ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণেই শরীরে এই ক্লান্তি আসে। এরপর শুরু হতে পারে জয়েন্ট ও পেশীতে ব্যথা। সেইসঙ্গে যোগ হতে পারে মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও দুই মাস পর্যন্ত এসব সমস্যা থাকতে পারে। যেসব রোগীর ক্ষেত্রে গুরুতর সংক্রমণ ছিল, তাদের অল্প জ্বর, শরীরে প্রদাহ ইত্যাদি থাকতে পারে পরবর্তী দুই সপ্তাহ।
হতে পারে ঘুমের সমস্যা
করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকেরই ঘুম হচ্ছে না। মারাত্মক এই ভাইরাস হতে পারে ইনসোমনিয়ার কারণ। সেইসঙ্গে বাড়াতে পারে হতাশা, দুশ্চিন্তা অ্যাংজাইটির মতো সমস্যাও। এগুলো ঘুমের সমস্যার অন্যতম কারণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের ক্ষেত্রে যদি সমস্যা হয় তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। নিয়মিত মেডিটেশন, যোগাসন ইত্যাদি করবেন। আপনার আগের জীবনের ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
হাঁপিয়ে ওঠার সমস্যা হতে পারে
করোনার পরে একটুতেই হাঁপিয়ে ওঠার মতো সমস্যা বেশ সাধারণ। আপনি কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠতে পারেন, বিশ্রামে থাকলেও হঠাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে পারে। করোনায় আক্রান্ত হলে ফুসফুসে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে অনেকেরই। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হতে পারে। প্রতিদিন ব্রিদিং এক্সারসাইজ করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।