সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি ওমিক্রন? যেভাবে বুঝবেন
একে তো শীত, তার ওপর আবার ওমিক্রনের প্রকোপ। একটু তো দুশ্চিন্তা হয়ই। মহামারির সঙ্গে লড়াই করে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে এমনিতেই বিদ্ধস্ত হয়ে আছি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ওমিক্রনের ভয়। শীতের সময়ে বেশিরভাগেরই হালকা ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি ইত্যাদি হতে পারে। এসময় এসব সমস্যা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু ছোট কোনো অসুখই বড় আকার ধারণ করলে আমরা বিপদে পড়ে যাই।
ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে সাধারণ ফ্লু বা সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে চিন্তা বেশি থাকছে। এই সময়ে নাক দিয়ে পানি পড়া, কাশি ইত্যাদি হতে পারে সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ। তাই শুরুতেই ঘাবড়ে যাবেন না। কিন্তু ওমিক্রনের সঙ্গে পার্থক্য কীভাবে করবেন?
চিকিৎসকদের বলেন, কাশি-সর্দি সবসময়ই সাধারণ সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়। কিন্তু এখন যেহেতু মহামারি চলছে তাই এই সাধারণ উপসর্গগুলোই আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যখন আপনার নাক দিয়ে পানি পড়বে, নাক বন্ধ থাকবে, গা এবং হাত-পা প্রচণ্ড ব্যথা হবে, তখন হতে পারে তা ওমিক্রনের উপসর্গ। তবে এই রোগের প্রথমেই জ্বর আসবে না এবং স্বাদ-গন্ধও চলে যাবে না।
এই সময়ে সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলেও অনেকে ভীত হয়ে পড়ছেন। তবে যেকোনো অসুখে ঘাবড়ে না গিয়ে সমাধান খুঁজতে হবে। আপনি যদি মানসিকভাবে দুর্বল থাকেন তবে ছোটখাট অসুখও আপনার বড় ক্ষতি করতে পারে। যদি আপনি শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন তবে সতর্ক হোন। ওমিক্রন গবেষক এবং চিকিৎসকরা বলছেন, যদি অতিরিক্ত গা হাত পা ব্যথা হয় এবং গলায় অসম্ভব চুলকানি অনুভূত হয় তবে অবশ্যই টেস্ট করাতে হবে। অনেকের অ্যালার্জির কারণে এই সমস্যা হতে পারে, তখন কিন্তু গা হাত পা ব্যথা থাকবে না। এরকম অবস্থায় দুই-তিনদিন অপেক্ষা করে দেখতে হবে। যদি সময়ের সঙ্গে কমে যায় তবে বুঝবেন সাধারণ সমস্যা।
জ্বরের কারণ হতে পারে এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকুন। যদি পানি ধরলে ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা হয় তবে হালকা গরম পানিতে কাজ সারুন। কারণ এসময় জ্বরে পড়লে দুর্বল শরীরে আরও অনেক ভাইরাস হানা দিতে পারে। যতটা সম্ভব জন সমাগম এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পড়বেন। সঙ্গে রাখবেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে দ্রুত নিয়ে নিন। নিজেকে সুস্থ রাখাই এই সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।