ওমিক্রন থেকে সুস্থ হতে কী করবেন?
প্রতিদিনই শনাক্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। সেই সংখ্যা কিন্তু বেড়ে চলেছে, যেটি উদ্বেগজনক। শুরুর দিকে এর উপসর্গকে মৃদু বলা হলেও প্রকোপ দেখে তা আর বলা যাচ্ছে না। তবে বিচলিত হলে চলবে না, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও এর থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। সেজন্য নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করতে হবে।
করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো প্রচণ্ড জ্বর, স্বাদ-গন্ধ চলে যাওয়ার মতো সমস্যা এই ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারে না। তার মানে এই নয় যে এটি একেবারেই দুর্বল। ওমিক্রনের কারণে অসুস্থ হলে তা আপনাকে আরও বেশি সময় কষ্ট দিতে পারে। যেহেতু নতুন ভ্যারিয়েন্ট, তাই এতে আক্রান্ত হলে কী করতে হবে, কী করতে হবে না তা অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার জন্য কী করতে হবে-
স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ুন
চিকিৎসকদের মতে, যেকোনো ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ার বিকল্প নেই। প্রতিটি দিন নিয়ম মেনে চলা উচিত। কখনোই নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো কাজ করা উচিত নয়। ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, প্রতিদিন সঠিক পরিমাণ ঘুম, নিয়ম মেনে শরীরচর্চা, শারীরিক নানা ক্রিয়াকলাপ আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকা
অসুস্থতা কমে যাওয়ার পর সামনে যা পাওয়া যায়, তাই খেয়ে ফেলা চলবে না। ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়তে হবে। এসময় ক্ষুধা পায় না বললেই চলে। তবে নিজের সঙ্গে জোর-জবরদোস্তি করা চলবে না। ঠান্ডা বা বাসী কোনো খাবার খাওয়া চলবে না। বাড়িতে তৈরি খাবার খেতে হবে। এগুলোই আপনাকে দ্রুত সেরে উঠতে সহযোগী হিসেবে কাজ করবে। হজমের সমস্যা ভালো করার জন্য এই নিয়ম মেনে চলার বিকল্প নেই।
হালকা শরীরচর্চা
এসময় শরীর অনেক দুর্বল থাকে তাই শরীরচর্চার কথা অনেকে ভাবতেও পারেন না। তবে সব ধরনের শরীরচর্চা বাদ দিয়ে একেবারে বসে থাকলে চলবে না। শরীর কষ্ট পায় এমন কিছু করবেন না, তবে দুর্বলতা এড়াতে আপনাকে অবশ্যই হালকা হাতে শরীরচর্চা করতে হবে। ধর্মীয় প্রার্থনা, ইয়োগা ইত্যাদিও করবেন। এগুলো আপনার শরীর ও মন সুস্থ রাখতে কাজ করবে।
টক খাবারে সমস্যা হলে
এসময় ভিটামিন সিযুক্ত ফল, টক জাতীয় খাবার যদি সহ্য না হয় তবে কিছুদিনের জন্য পুরোপুরি বাদ দিন। কারণ যেসব খাবার সহ্য হচ্ছে না তা চালিয়ে গেলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই খাবার খাওয়ার আগে অবশ্যই বুঝেশুনে খেতে হবে।
খুব বেশি মিষ্টি নয়
দুর্বলতার কারণে আপনার কার্ব হাইড্রেট এবং মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়তে পারে। তবে এ জাতীয় খাবার কোনোভাবেই বেশি খাওয়া চলবে না। বিশেষ করে কোমল পানীয় কোনোভাবেই খাবেন না। এগুলো আপনার দুর্বল শরীরের জন্য মোটেই সহায়ক নয়।
ভালো রাখুন মনও
শুধু শরীর নয়, মন ভালো রাখাও জরুরি। মানসিকভাবে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিজের পছন্দের কাজগুলোই করুন। ভাইরাস কিন্তু আপনার শরীরের পাশাপাশি মনকেও মারাত্মকভাবে দুর্বল করে ফেলে। তাই অস্থির হওয়া চলবে না। যেসব কাজে মন প্রশান্ত হয়, সেগুলোই করুন।
সারাক্ষণ শুয়ে থাকা নয়
শরীর দুর্বল বলে সারাদিন শুয়ে থাকবেন না। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। ভোরের প্রথম আলো গায়ে মাখুন। এসময় গায়ে সূর্যের আলো লাগানো জরুরি। বাড়িতে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করুন। এসব অভ্যাস মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন।