বাথরুম দুর্গন্ধমুক্ত রাখার উপায়
আপনি আসলেই পরিচ্ছন্ন কি না তা বোঝা যাবে আপনার রান্নাঘর আর বাথরুম দেখে। নোংরা বাথরুমে পরিষ্কার হওয়ার জন্য গেলে আপনি আরও বেশি নোংরা হয়ে বের হবেন। এটি চোখে দেখা না গেলেও নানা জীবাণু আপনাকে আক্রান্ত করে ফেলবে। আপনি হয়তো ঝকঝকে করে পরিষ্কার করছেন, কিন্তু তাতে বাথরুম পরিষ্কার হচ্ছে কি? শুধু পরিষ্কার করাই শেষ কথা নয়। এর পাশাপাশি বাথরুম হতে হবে জীবাণুমুক্ত ও দুর্গন্ধমুক্ত। বাথরুম থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে সেটি নিশ্চয়ই সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না? জেনে নিন বাথরুম দুর্গন্ধমুক্ত রাখার উপায়-
বেকিং সোডার ব্যবহার
বাথরুম দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে আরেকটি কার্যকরী উপাদান হলো বেকিং সোডা। বাথরুমের কোনো স্থানে একটি খোলা কাপে বা বাটিতে বেকিং সোডা রেখে দিন। বাথরুমের দুর্গন্ধ শুঁষে নিতে কাজ করবে এটি। এককাপ সোডা একমাস পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। এরপর এটি পাল্টে ফেলবেন। এর পাশাপাশি বাথরুমের মেঝেতে কোনো দাগ-ছোপ থাকলে তাও পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবেন বেকিং সোডা।
এসেন্সিয়াল অয়েল
বাথরুম দুর্গন্ধমুক্ত রাখার কাজে আপনাকে সাহায্য করবে এসেনশিয়াল অয়েল। এটি এয়ার ফ্রেশনারের চেয়েও বেশি কার্যকরী। আপনার পছন্দের কোনো এসেন্সিয়াল অয়েলে তুলো ভিজিয়ে বাথরুমের এক কোণায় রাখতে পারেন। বেছে নিতে পারেন লেমনগ্রাসের সেন্ট, ল্যাভেন্ডার বা মিষ্টি কোনো ফুলের সুগন্ধ। তবে উগ্র বা চটকদার কোনো গন্ধ বেছে নেবেন না।
ভিনেগার ও লেবু
লেবু তো প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। এই লেবুও কিন্তু বাথরুমের গন্ধ তাড়াতে কাজ করতে পারে। এক টুকরো লেবু কেটে নিয়ে বাথরুমের এক কোণায় রেখে দিন। এটি দুর্গন্ধ দূর করে সতেজ এক ধরনের গন্ধ দেবে। এক সপ্তাহ পরপর আগের টুকরোটি ফেলে নতুন টুকরো রাখুন। লেবুর পাশাপাশি বাথরুম দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনেগারও। বাথরুমে ভিনেগার মুখখোলা পাত্রে ভিনেগার রেখে দিন। পনের দিন পরপর পাল্টে দেবেন। এটি অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
নিয়মিত পরিষ্কার করুন
অনেকে বাথরুম পরিষ্কারের কথা ভুলে যান। কিন্তু স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে চাইলে বাথরুম নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। ভিনেগার, লেবু ও বেকিং সোডা ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই বাথরুম পরিষ্কার ও দুর্গন্ধমুক্ত করতে পারবেন। বাথরুমের টাইলসও নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
ভেন্টিলেশন
বাথরুমের ভেন্টিলেশন ভালো রাখতে হবে। আলো-বাতাস চলাচল করলে সেই বাথরুমে সহজে দুর্গন্ধ হবে না। বাথরুমের ভেতরের পরিবেশও স্বাস্থ্যকর থাকবে। এক্ষেত্রে বাথরুমে একটি ছোট জানালা বা এক্সস্ট ফ্যান থাকা ভালো। এর পাশাপাশি এয়ার পিউরিফায়ারও ব্যবহার করতে পারবেন।