শীতে প্রতিদিন গোসল না করেও দুর্গন্ধমুক্ত থাকবেন যেভাবে
শীতের দিনে বাড়তি অলসতা ভর করাটা অস্বাভাবিক নয়। সারা বছরের কর্মঠ মানুষটিও শীত এলে গুটিসুটি মেরে যায় যেন। সেই অলসতারই অংশ হলো শীতের দিনে গোসল না করে থাকা। ঠান্ডা পানির ভয়ে প্রতিদিন গোসল না করাদের তালিকাই বড় হতে থাকে। এই শীতেও যারা প্রতিদিন গোসল করছেন, তাদের কথা ভিন্ন। কিন্তু যারা গোসল করছেন না, তাদের গায়ের দুর্গন্ধ দূর হবে কী দিয়ে?
শরীরের দুর্গন্ধ দূর করতে বেশিরভাগই নির্ভর করেন ডিওডোরেন্ট কিংবা পারফিউমের ওপর। কিন্তু তাতে সাময়িক মুক্তি মিললেও পুরোপুরি দূর হয় না। তাই এসব কেমিক্যালযুক্ত জিনিসপত্রের ওপর নির্ভর না করে কাজে লাগাতে পারেন ঘরোয়া পদ্ধতি। এতে প্রতিদিন গোসল না করেও থাকতে পারবেন দুর্গন্ধমুক্ত। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
মৌরি ভেজানো পানি পান
যারা গায়ে দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিতে ভোগেন, তারা এখন থেকে মৌরি ভেজানো পানি পান করা শুরু করুন। এতে ঘাম এবং দুর্গন্ধ দুটোই কম হবে। মৌরিতে থাকা নানা উপকারী উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। মৌরির পানি তৈরি করার জন্য এক কাপ পানিতে এক চা চামচ মৌড়ি গুঁড়া মিশিয়ে সেই পানিটুকু দুই মিনিটের মতো ফুটিয়ে নেবেন। এরপর তাতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করবেন।
নারিকেল তেল মেখে গোসল
শীতে প্রতিদিন গোসল না করলেও মাঝে মাঝে তো করা হয়, তাই না? তখন একটি কাজ করতে হবে। সারা গায়ে নারিকেল তেল মেখে এরপর গোসলে যেতে হবে। এই তেল আপনার গায়ে দুর্গন্ধ তৈরি হতে দেবে না। কীভাবে? আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়ার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। নারিকেল তেল সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো মেরে ফেলে। এতে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে না।
ইপসম সল্ট দিয়ে গোসল
যখন গোসল করবেন তখন পানিতে ইপসম সল্ট মিশিয়ে নিন। এতে শরীরে জমে থাকা ঘামের দুর্গন্ধ দূর হবে। এই লবণে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ঘামের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। এতে সহজেই ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়। এক বালতি পানিতে আধা কাপ ইপসম সল্ট মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এতে উপকার পাবেন।
গ্রিন টি
নিয়মিত গ্রিন টি খেলে তা আপনার শরীরে দুর্গন্ধ জমতে দেবে না। তবে শুধু পান করলেই হবে না, সেইসঙ্গে করতে হবে আরও একটি কাজ। প্রথমে চিনি ছাড়া এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করে নেবেন। এরপর তা একটি তুলোর সাহায্যে শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয়, সেখানে লাগাবেন। গ্রিন টিতে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘামের মাত্রা কমায় এবং ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে সাহায্য করে। এতে সহজেই গায়ের দুর্গন্ধ দূর হয়।