টাকা খরচের ক্ষেত্রে নারীদের যে ৬ অভ্যাস থাকা জরুরি
টাকা বাঁচানোর অভ্যাস থাকার সবার জন্যই জরুরি। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে একটু বেশিই জরুরি। টাকা কীভাবে বাঁচানো যায় এবং কীভাবে ইনভেস্ট করলে লাভবান হওয়া যায় তা প্রত্যেকেরই জানা থাকা উচিত। কারণ অল্প অল্প করে জমানো টাকাই আপনার বিপদের দিনে কাজে লাগবে। নারী যদি আত্মনির্ভরশীল হন, তবুও তাদের টাকা খরচের ক্ষেত্রে এই ছয় বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে-
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমানো
ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনার বিষয়টি আপনার উপকারী মনে হতেই পারে, কিন্তু নিয়মিত এই কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করাটা আপনার বদ অভ্যাসে পরিণত হতে পারে। ক্রেডিট মানেই বাকি। সেটি তো পরিশোধ করতেই হবে। তাই চেষ্টা করুন ডেবিট কার্ড ব্যবহারের অথবা নগদ ক্যাশ টাকা দিয়ে কেনার। এতে কত টাকা বেঁচে যাচ্ছে, তা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
সময় নষ্ট করবেন না
পরে করলেও চলবে- ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। যেটি করতে হবে তা এখনই করুন। অনেকে সেভিংস করার ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। আজ না কাল- করে সময় চলে যায়। এদিকে টাকাও খরচ হতে থাকে। তাই উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত সেভিংস করে ফেলুন। প্রতি মাসে আপনার উপার্জনের অন্তত ১০% সেভিংস করুন। যদি সম্ভব হয়, তাহলে প্রতি মাসে একটু করে বাড়িয়ে রাখুন। কত টাকা আয় করছেন সেটি বিষয় নয়।
অযথা কেনাকাটা
যদি আপনার অকারণেই কেনাকাটা করার অভ্যাস থাকে তবে তা বাদ দেওয়ার এখনই সময়। ইচ্ছেমতো বা পরিকল্পনা ছাড়াই কেনাকাটা করলে তা হয়তো আপনাকে সাময়িক আনন্দ দিতে পারে, তবে আপনার অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার জন্য এই একটি অভ্যাসই যথেষ্ট। কোন কোন জিনিস আপনার সত্যিই কিনতে হবে, সেগুলোর একটি তালিকা করুন। সেই তালিকা ধরেই কেনাকাটা করুন, এর বাইরে নয়।
ইনভেস্টমেন্ট
আপনি যত কম বা বেশি টাকা আয় করুন না কেন, কিছু টাকা ইনভেস্ট করুন। কারণ যে ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করবেন, সেটি লাভজনক হলে আপনিও লাভবান হতে থাকবেন। লোভে পরে সব টাকা ইনভেস্ট করতে যাবেন না। ঠিক ততটা ইনভেস্ট করুন, যতটা লস হলেও খুব বেশি ক্ষতি হবে না। মূল্যবান অলংকার কিংবা জমি কিনে রাখাও অনেক ক্ষেত্রে লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট হতে পারে।
আর্থিক পরিকল্পনা
সাপ্তাহিক অথবা মাসিক বাজেট তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী চলুন। আপনার সমস্ত খরচ যেন সেই বাজেটের মধ্যেই থাকে, সেদিকে নজর রাখবেন। সমস্ত খরচের হিসাবও লিখে রাখুন। এতে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোথায় কত টাকা খরচ হলো।
ইমার্জেন্সি ফান্ড
একটি গোপন এবং ইমার্জেন্সি ফান্ড করে রাখুন। এটি বিভিন্ন সময়ে আপনাকে সাহায্য করবে। টাকা খরচের অংশ থেকেই একটি ইমার্জেন্সি ফান্ড করে রাখুন। এতে আপনার ওপর আলাদা চাপ পড়বে না, আবার অল্প অল্প করে জমানো টাকাই আপনার অনেক বেশি উপকারে আসবে।