স্বামীকে বিশ্বাস করতে পারছেন না? জেনে নিন করণীয়
সব সম্পর্কের মতো বিয়ের ক্ষেত্রেও বিশ্বাস অপরিহার্য একটি বিষয়। এটি বিয়ের মতো একটি বন্ধন তৈরির জন্য প্রধান শর্ত। সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর তর্ক, ভুল বোঝাবুঝি ও লুকোছাপা তৈরি হতে পারে। দুজনের মধ্যে কোনো একজনের স্বভাবে অসততা থাকলে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তার অহেতুক গোপনীয়তা আপনাকে সন্দেহের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আপনি যদি আপনার স্বামীকে বিশ্বাস করতে না পারেন তখন কী করবেন? সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে চলে যাবেন? ভাঙার আগে গড়ার চেষ্টা করা উত্তম নয় কি? জেনে নিন এক্ষেত্রে আপনার করণীয়-
যদি তিনি আবার আস্থা অর্জন করেন
বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে সেটি আর কখনোই পুরোপুরি জোড়া লাগে না। কিন্তু যদি অভিযুক্ত ব্যক্তিটি ক্ষমা চায়, আর কখনো একই ভুল না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তাহলে তাকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে। আপনার স্বামীকে বলুন যেন তিনি সেই চেষ্টা করেন। বিশ্বাস ফিরে পেতে সময়, ধৈর্য এবং অনেক প্রতিশ্রুতি এবং দৃঢ়প্রত্যয় লাগে। সম্পর্কটি টিকবে কি টিকবে না সেটি বড় কথা নয়, বরং সুন্দরভাবে ধরে রাখতে চাইলে যে হারানো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা জরুরি, একথা তাকে বোঝান।
শান্তভাবে মুখোমুখি হোন
আপনি যদি তার বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে জেনে গিয়ে থাকেন তবে তার মুখোমুখি হোন। তবে চিৎকার-চেচামেচি করে নয়, শান্তভাবে। আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সময় নিন। কারণ রাগান্বিত এবং বিধ্বস্ত অবস্থায় আপনার স্বামীর মুখোমুখি হলে এমন সব শব্দ বলে ফেলতে পারেন যা আসলে আপনি বলতে চাননি।
যোগাযোগ করুন
কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। তিনি যদি দূরে থাকেন তবে তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন। কোনো তৃতীয় ব্যক্তি নয়, আপনি নিজে কথা বলুন। এটি যেকোনো সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। আপনি আপনার স্বামীকে সম্পূর্ণভাবে ধরাশয়ী করার আগে শান্তভাবে আপনার অনুভূতিগুলো জানান এবং এরপর সিদ্ধান্ত নিন।
অন্যের পরামর্শ নিন
আপনি যদি আপনার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম না হন তখন কী করবেন? এক্ষেত্রে পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ সদস্য বা বন্ধুর সাহায্য নিলে একটি ভালো সমাধান হতে পারে। একজন পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নিতে পারেন। কারণ তিনি আপনাকে এই ধরনের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।
ক্ষমা করা এবং বিশ্বাস করা এক নয়
বেশিরভাগ স্ত্রী ভুল করে এই ভেবে যে, প্রতারক স্বামীকে ক্ষমা করার অর্থ তাকে আবার জীবনে ফিরিয়ে আনা। কিন্তু এই দুটি বিষয় এক নয়। আপনার স্বামীকে প্রথমে আপনার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, ক্ষমা করার অর্থ এই নয় যে আপনি তাকে আপনার জীবনে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছেন। পার্থক্য বুঝতে শিখুন।