ত্বকের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার
ত্বক ভালো রাখতে নিমপাতা কতটা উপকারী, তা বেশিরভাগেরই জানা। ত্বক ভালো রাখতে এর ব্যবহারও বহু পুরোনো। নিমপাতা আপনার ত্বককে ভালো রাখতে নানা ধরনের জীবাণুকেই দূর করে না, সেইসঙ্গে ত্বকে ফিরিয়ে দেয় হারানো উজ্জ্বলতা। তবে ত্বকে নিমপাতা ব্যবহার শুধু ব্যবহার করলেই হবে না, জানতে হবে তার সঠিক উপায়। এটি সব ঋতুতেই ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন ত্বকের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার সম্পর্কে-
নিমপাতার ব্যবহার করলে যেসব উপকার মিলবে-
* নিমপাতা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল। তাই খুব সহজেই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।
* নিমপাতা ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
* ত্বকের দাগছোপ কমাতে সাহায্য করে নিমপাতা।
* নিমপাতা বলিরেখা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
নিমপাতার ক্লিনজার
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় নিমপাতা ত্বকের অনেকগুলো সমস্যা দূর করে। ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এটি বেশ কার্যকরী। সেইসঙ্গে পরিষ্কার করে ত্বকের অতিরিক্ত তেল। লোমকূপে লুকিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে এই উপকারী পাতা।
ক্লিনজার তৈরির জন্য কয়েকটি নিমপাতা নিন। এরপর একটি পরিষ্কার হাঁড়িতে পানি ফুটিয়ে নিন। তার ভেতরে নিমপাতা দিয়ে আরেকবার ফোটান। যতক্ষণ পর্যন্ত পানি সবুজ না হয়ে যায়, ততক্ষণ ধরে ফোটাতে থাকুন। এরপর পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এই মিশ্রণ একটি পরিষ্কার ও শুকনো বোতলে সংরক্ষণ করুন। এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন। পরিষ্কার তুলোর সাহায্যে মুখে ও গলায় লাগিয়ে নেবেন। এতে আপনার ত্বক নানাভাবে উপকৃত হবে।
নিমপাতার ফেসপ্যাক
ত্বকের সাধারণ সমস্যা হোক কিংবা বড় কোনো ক্ষত, সবকিছুতেই একইভাবে কার্যকরী নিমপাতা। ত্বকে ইনফেকশন কিংবা জ্বালাপোড়া অনুভব করলে নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। আবার রুক্ষ ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতেও সাহায্য করে এই পাতা।
নিম পাতার ফেসপ্যাক তৈরির জন্য প্রথমে পাতা শুকনো করে গুঁড়া করে নিন। এরপর দুই টেবিল চামচ নিমপাতা গুঁড়া ও দুই টেবিল চামচ চন্দন পাউডার মিশিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে মেশান সামান্য পানি ও এক টেবিল চামচ গোলাপ জল। সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি ফেসপ্যাক হিসেবে মুখে ব্যবহার করুন। এভাবে অপেক্ষা করুন অন্তত বিশ মিনিট। এরপ ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। এই মাস্ক ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।