ধুলোবালিতে অ্যালার্জি? ঘরোয়া সমাধান জেনে নিন
শীতের সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়। শুষ্কতার কারণে চারদিকে ধুলোবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। এসময় সামান্য বাতাসেও অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা শুরু হয়। খুসখুসে কাশি, সর্দি, নাক চুলকানো, চোখের ভেতর চুলকানোর মতো অনুভূতি হতে থাকে। এই সমস্যা থাকে অনেকেরই। ঋতু পরিবর্তনের সময় এই অ্যালার্জি হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয় ধুলোবালির কারণে।
শীতের সময় এলে ধুলোও বেশি হয়, সেইসঙ্গে বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যা। অনেকে এই ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে বাঁচতে নিয়মিত ওষুধ খেতে থাকেন। কিন্তু তাতে কিছুক্ষণ আরামবোধ করলেও তারপরই আবার শুরু হয় সমস্যা। এদিকে অ্যালার্জির ওষুধের কারণে সারাদিন চলতে থাকে ঘুম ঘুম ভাব। তাই এভাবে ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায় বেছে নিলে সেটি বেশি কার্যকরী হতে পারে। তাহলে আর ডাস্ট অ্যালার্জি আপনার কাছে পাত্তা পাবে না।
মধু খেলে মিলবে মুুক্তি
মধু আপনাকে মুক্তি দিতে পারে ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা থেকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে দুই টেবিল চামচ মধু খাবেন। আবার রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, তখনও দুই টেবিল চামচ মধু খাবেন। রাতে মধু খাওয়ার পর পানি না খেয়ে থাকতে পারলে সবচেয়ে ভালো। যদি খেতেই হয় তবে হালকা গরম পানি পান করবেন।
মধু খেলে উপকার পাওয়া যায় বলে একটু পরপর খেতে থাকবেন না। মধু আপনি খেতে পারেন দিনে দুইবার করে। ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে অনেক সময় খুসখুসে কাশি হতে পারে। এই কাশিকে হালকা ভেবে অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ দ্রুত এর চিকিৎসা না করলে বুকে কফ বসে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সমাধানে নিয়মিত মধু খাবেন। কারণ মধু খুসখুসে কাশি এবং বুকে বসে যাওয়া কফ দূর করতে কার্যকরী।
ইউক্যালিপটাস অয়েল
এই পদ্ধতির জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ভেপারাইজার, পানি ও কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপ্টাস এসেনশিয়াল অয়েল। প্রথমে ভেপারাইজারে পানি গরম করে তাতে ইউক্যালিপ্টাস এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে নিন। এরপর সেখান থেকে ভাপ নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এভাবে ভাপ নিলে উপকার পাবেন। যদি আপনার ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যা খুব বেশি হয়ে থাকে তবে ঘর মোছার পানিতেও ইউক্যালিপ্টাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নেবেন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
আপেল সাইডার ভিনেগারের অনেক উপকারিতার কথা জানেন নিশ্চয়ই। এর অন্যতম গুণ হলো এটি ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে সাহায্য করতে পারে। সেজন্য দুই টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার, এক গ্লাস হালকা গরম পানি ও এক চা চামচ মধু নিতে হবে। এরপর পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার ও মধু মিশিয়ে ছোট ছোট চুমুকে পান করুন। এটি চাইলে মধু ছাড়াও খেতে পারেন। এই মিশ্রণ দিনে দুই-তিনবার খেতে পারেন। মৌসুম পরিবর্তনের সময় এই পানীয় নিয়মিত পান করলে ডাস্ট অ্যালার্জির ভয় অনেকটাই কমে যাবে।
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
এই পদ্ধতির জন্য লাগবে ভেপারাইজার, পানি ও কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। প্রথমে ভেপারাইজারে পানি গরম করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল ঢেলে নিন। এরপর ভাপ নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাপ নেবেন। ডাস্ট অ্যালার্জি খুব বেশি হলে গোসলের সময় হালকা গরম পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।