প্রেমিক সময় না দিলে কী করবেন?
একটি প্রেমের সম্পর্কে যে বিষয়গুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ শুনতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো, প্রেমিক সময় দিতে চায় না বা দেয় না। এ নিয়ে মনোমালিন্য যেন নিত্যদিনের ঘটনা। যারা ব্যস্ততা এবং প্রেম দুটোই সমানতালে চালিয়ে যেতে পারেন, তারা সৌভাগ্যবান। কিন্তু এই সৌভাগ্য বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই থাকে অনুপস্থিত।
কারও প্রেমে পড়া কিংবা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু কঠিন পর্ব আসে প্রেম শুরু হওয়ার পর। কারণ সম্পর্কটি শুরুর মতোই সুন্দরভাবে গুছিয়ে চলা সহজ হয় না। দুজনের মধ্যকার দূরত্ব, ভুল বোঝাবুঝি সবকিছুই যেন বাড়তে থাকে। প্রেমিক সময় দিতে না পারলে প্রেমিকার অভিমান বাড়ে। সেই অভিমান ভাঙাতে না পারলে শুরু হয় ঝগড়াপর্ব। এভাবেই সম্পর্কটি নড়বড়ে হতে শুরু করে। তবে শুধু সময় কম দেয় বা সময় দিতে পারে না বলে একটি সম্পর্ক ভেঙে দেওয়াটাও হৃদয়হীনের মতো কাজ। তাই আপনার প্রেমিক সময় দিতে না পারলে কী করবেন জেনে নিন-
কারণ খুঁজে বের করুন
অভিমান কিংবা ঝগড়া করার আগে অন্তত কারণটি খুঁজে বের করুন, কেন আপনার প্রেমিক সময় দিতে পারছে না। যদি সে চাকুরিজীবী হয় তবে সময় বের করতে না পারাটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে এমন হতে পারে যে সে সময় দিতে চেয়েও পারছে না। হয়তো তিনি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসেন। তাই তার অপারগতা বিষয়টিও আপনাকে বুঝতে হবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনার প্রেমিক অনেক সময় পেয়েও আপনাকে একদমই সময় দিচ্ছে না তাহলে সতর্ক হোন। তাই প্রথমে কারণটা খুঁজে বের করুন, এরপর সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিন।
প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলুন
হয়তো আপনাদের বিশেষ কোনো দিন চলে যায় কিন্তু তার মনেই থাকে না, অথবা মনে থাকলেও দেখা করার কিংবা একসঙ্গে উদযাপন করার সময় হয় না। এরকম পরিস্থিতিতে আপনার মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই এরকমটা ঘটলে আপনার প্রেমিককে বুঝিয়ে বলুন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো আপনাকে কতটা কষ্ট দেয় তা তাকে বুঝতে দিন। সামনাসামনি বসে কথা বলুন কেন সে এমনটা করছে। আপনার কথা যদি সে মন দিয়ে শোনে বা আপনার কষ্টটুকু বুঝতে পারে তবে সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।
তর্ক করবেন না
প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করাই যায়। কিন্তু সময় দিতে পারছে না বলে তর্ক করবেন না। কেন সে সময় দিতে পারছে না তা ভেবে দেখুন। কোনো কারণ ছাড়াই এমনটা করলে আপনি অভিমান করতে পারেন। আর যদি সময় দিতে না পারার পেছনে যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে তবে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। সরাসরি কথা বলুন, তবে অযথা রাগ দেখাবেন না বা ঝগড়া করবেন না। ঝগড়ার সময়ে অপ্রয়োজনীয় কথাই বেশি বলা হয়। তাতে সমাধান মেলে খুব কম।