আপনার শিশুও এই অসুখে আক্রান্ত নয় তো?
শিশুর জ্বর কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তারা যেহেতু আমাদের তুলনায় অনেকটাই নাজুক তাই একটু এদিক-ওদিক হলেই বাঁধতে পারে নানা অসুখ। জ্বরও তেমন একটি ঘটনা। শিশুর অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন মা-বাবা। ইদানিং হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া জ্বরের সঙ্গে হাতে পায়ে ফোস্কার মতো র্যাশ দেখা দিচ্ছে অনেক শিশুর। এই রোগকে অনেক মা-বাবা চিকেন পক্স ভেবে ভুল করছেন। এটি আসলে চিকেন পক্স নয়, এর নাম হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ, যা কক্সাকি বা এন্টারো ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এই রোগের বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ লুনা পারভীন-
হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ কাদের হয়?
সাধারণত ছোঁয়াচে এই রোগ ৫ বছরের নিচে শিশুদের হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় ১০ এর নিচে বা বড়দেরও হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুরাই এর প্রধান ভুক্তভোগী।
হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজের কারণে কী সমস্যা হয়?
এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৩-৬ দিনের মধ্যে জ্বর দেখা দেয় এবং ৬/৭ দিন লাগে ভালো হতে । জ্বরের ১ বা ২ দিন পর মুখের ভিতর ঘা, হাতে ও পায়ে তালুসহ নিতম্বেও ফোস্কার মতো র্যাশ দেখা যায়। চুলকানি হয় না, তবে ব্যথার জন্য খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া, অরুচি, অস্থিরতা দেখা যায়। ৭দিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক
শিশুর এই রোগ দেখা দিলে অস্থির হবেন না। কারণ এটি খুব বেশি মারাত্মক ইনফেকশন নয়। তবে যেকোনো ধরনের ইনফেকশন বা অসুখে সতর্ক থাকা জরুরি। কারণ আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ এই অসুখের ফলে পানিশূন্যতা হতে পারে। যা ভয়ের কারণ। এছাড়া ছোঁয়াচে হওয়ায় সহজেই স্পর্শ, হাঁচি কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। খুবই কম ক্ষেতো খিচুনি বা অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
প্রতিকারের উপায়
এই রোগের কোনো পরীক্ষা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। জ্বরের চিকিৎসার পাশাপাশি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, প্রচুর পানি ও তরল খাবার খাওয়ানো, গোসল করানো, উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধ দেওয়াই এর চিকিৎসা। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়াবেন না। বলা হয়, বারবার হাত ধোওয়া ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করলে এই রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচা যায়।
এইচএন