মাউথওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি যে কারণে
ঘুম থেকে জেগে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে- এই দুই সময়ে দাঁত ব্রাশ করার নিয়ম আমরা সবাই জানি। দুইবেলা নিয়ম করে দাঁত মেজেও দাঁতের সমস্যা এড়াতে পারছেন না অনেকে। দাঁতে লেগে থাকছে নানা ধরনের সমস্যা। মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া, দাঁতে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ কী?
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করলে দাঁত পরিষ্কার হয়। কিন্তু মুখের ভেতরটা পরিষ্কার করার জন্য আপনি কী করছেন? একারণে শুধু দাঁত মাজাই যথেষ্ট নয়। মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আপনাকে মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহারের রয়েছে অনেক উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাড়ি সুস্থ রাখে
ফ্লুওরাইড মাউথওয়াশের উপকরণগুলোর মধ্যে একটি। এটি দাঁতের এনামেলের যত্ন নিতে এবং মাড়ি সুস্থ রাখতে কাজ করে। মাড়ির নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। হতে পারে তা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা মাড়ি ফুলে যাওয়া। ফ্লুওরাইড এসব সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে।
এছাড়া দাঁতের এনামেল যদি ঠিক না থাকে বা দুর্বল হয়, তা হলে দাঁত পড়ে যাওয়া অথবা ভেঙে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা যায়। ফ্লুওরাইড দাঁতের এনামেল মজবুত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত মাউথওয়াশ দিয়ে যদি আপনি কুলকুচি করেন, তা হলে মুখের ভিতরের অংশ সুস্থ থাকবে এবং তার সঙ্গেই সুস্থ থাকবে আপনার দাঁত ও মাড়িও।
প্লাক দূর করে
খাবার খাওয়ার পর কুলকুচি যতই করুন না কেন, দাঁতের গোড়ার দিকে একটি পরত আস্তরণ পড়বেই। এটি প্রতিদিন সামান্য হলেও বাড়তে থাকে। একটা সময় তা জমতে জমতে প্লাকের জন্ম দেয়। দাঁতের যেসব জায়গায় ব্রাশ পৌঁছায় না সেসব জায়গায় জমে এই প্লাক। তাই আপনি যতই দাঁত মাজুন না কেন, মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করার অভ্যাস করতে হবে। এটি তরল বলে মুখের সব জায়গায় পৌঁছাতে পারে। ফলে প্লাক জমে না।
ব্রাশও করতে হবে
মাউথওয়াশ ব্যবহারের মানে এই নয় যে আপনি দাঁত ব্রাশ করা বন্ধ করে দেবেন। বরং আগের মতোই দুইবেলা দাঁত ব্রাশ করতে হবে। আর মাউথওয়াশ ব্যবহার করবেন মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের মুখের ভেতরে থাকে প্রায় ১০ মিলিয়ন জীবাণু। এগুলো খব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫০ মিলিয়নে পৌঁছে যেতে পারে। মাউথওয়াশ মুখের ভেতরটা পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করে। তবে দাঁত ব্রাশ করে তারপরই মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।