যেসব অভ্যাস আপনাকে নিঃস্বার্থ করে তুলবে
আমাদের শুধু দয়ালু হওয়া দরকার। প্রত্যেকেই সফল হতে পারে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, কঠোর পরিশ্রম করতে পারে, কিন্তু অন্যদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে। এই বৈশিষ্ট্য সত্যিই খুব প্রশংসনীয়। এটি ইতিবাচক মনোভাব এবং নিঃস্বার্থ স্বভাবের প্রকাশ করে। স্বভাবের ভেতর থেকে স্বার্থপরতা দূর করার এবং পৃথিবীকে আরও সুন্দর হিসেবে গড়ে তোলার এখনই সময়। তাই প্রতিদিন একটু একটু করে নিঃস্বার্থ হওয়ার উপায় জেনে নিন-
মানুষের সঙ্গে মিশুন
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে কাছের মানুষ কিংবা আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে কেবল ভিডিও কলেই দেখা হয়। কিন্তু এই অভ্যাস বাদ দিতে হবে। সময় করে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিন। হয়তো আপনার মায়ের সঙ্গে তার ভাই-বোনদের দেখা নেই অনেকদিন। সবাইকে দেখা করার সুযোগ করে দিন। তাতে আপনি যেমন প্রফুল্ল বোধ করবেন, তারাও অনেক খুশি হবেন। যাদের সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ নেই, তাদের সঙ্গে ফোন করে কথা বলুন। এই অভ্যাস আপনাকে সম্পর্কের যত্ন নিতে শেখাবে।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারা একটি বড় গুন। যখন আপনি ধৈর্য সহকারে শুনবেন এবং সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করবেন, তখন আপনাকে আরও বেশি পরিণত মনে হবে। যদি কেউ আপনাকে তার জীবনের বিবরণ শেয়ার করার জন্য যথেষ্ট বিশ্বাস করে, তাহলে তার কথা শোনা উচিত। মানুষের দুর্বলতাগুলো শোনার জন্য অনেক ধৈর্য লাগে যা পরবর্তীতে আপনাকে সহানুভূতিশীল শ্রোতা করে তুলবে।
প্রশংসা করুন
কাউকে প্রশংসা করার সময় পিছিয়ে থাকবেন না। এটি তাত্ক্ষণিকভাবে কারও মেজাজকে হালকা করতে পারে। কাউকে প্রশংসা করার জন্য আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে তিনি কী করছেন বা তার বৈশিষ্ট্যগুলো কী। এটি অন্যকে বোঝার এবং অনেকের মধ্যে সামাজিকীকরণের একটি দুর্দান্ত উপায়। এটি পারস্পরিক সম্পর্ককেও শক্তিশালী করবে।
সাহায্য করুন
প্রতিদানের আশায় নয়, অন্যকে সাহায্য করুন কোনোরকম স্বার্থ চিন্তা ছাড়াই। যখন কেউ আপনার কাছে সাহায্য চাইবে, তখন বিরক্ত হবেন না। এর পরিবর্তে হাসিমুখে তাদের অভয় দিন এবং স্বেচ্ছায় তাদের সাহায্য করুন। অভাবগ্রস্ত কাউকে সাহায্য করার জন্য আপনার জীবনের কিছু মুহূর্ত ব্যয় করলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। বরং এটি আপনাকে নিঃস্বার্থ হতে সাহায্য করবে।
ধন্যবাদ দেওয়ার অভ্যাস করুন
কৃতজ্ঞতা হলো এমন আবেগ যা মানুষকে সহানুভূতিশীল এবং যত্নশীলবোধ করতে সাহায্য করে। যখন কেউ আপনাকে সাহায্য করার জন্য দূর থেকে সামান্য কিছু করে তখন আপনার তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এটি আপনাকে কেবল মানুষের সামনে ভালো মানুষ হিসেবেই তুলে ধরে না, বরং সুখি ও সন্তুষ্ট হতে সাহায্য করে। এই ধরনের স্বাস্থ্যকর আচরণে অন্যরা আপনাকে কতটা ভালো মনে করে তা জানলে বিস্মিত হবেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে