মানুষ প্রেমে পড়ে কেন?
মানুষ কেন প্রেমে পড়ে এই প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে অনেকের মনে। নারী ও পুরুষের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ থেকে আসে আসক্তি। আসক্তি থেকে আসে পূর্বরাগ। আর পূর্বরাগ হলো প্রেমের প্রস্তুতি। প্রেম হলো কামনা। একে অপরের প্রতি জেগে ওঠা দুর্নিবার বাসনাকে ভালোবাসা বলে। প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্য অনুসারে, মানুষের মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামক একটি উপাদানের প্রভাবে নারী ও পুরুষের একে অপরের স্বভাবজাত কামনা তৈরি হয়। তবে বিজ্ঞানীদের অন্য এক দল মনে করেন, কামনা জাগ্রত হয় সেক্স হরমোন টেসটোসটেরন ও ইসট্রোজেনের মাধ্যমে। আকর্ষণ তৈরি হয় মস্তিষ্কের ডোপামিন ও নোরিপাইন এবং আসক্তি তৈরি হয় অক্সিটোসিন ও ভ্যাসোপ্রোসিনের মাধ্যমে।
আজ আপনাদের জানাবো মানুষ কেন প্রেমে পড়ে সেই বিষয়ে। আসুন জানা যাক-
নিঃসঙ্গতা দূর করতে
মানুষ একা থাকতে পারে না। চলার পথে প্রয়োজন হয় একজন সঙ্গীর। প্রেমের মাধ্যমে সঙ্গীর সঙ্গে খুনসুটির মধ্য দিয়ে মানুষ নিজের নিঃসঙ্গতা দূর করতে চায়। কারণ নিঃসঙ্গ অবস্থায় বড় একঘেঁয়ে লাগে। সেই কারণে অন্য মানুষের সংস্পর্শে এসে নিঃসঙ্গতা দূর করতে চায়।
অনুভূতি প্রকাশ করতে
মানুষ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে চায় অন্যের কাছে। সেই কারণে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। এতে ব্যক্তিগত ক্ষোভ, দুঃখ, কষ্ট ভুলে থাকা যায়। মানুষ ক্ষুদ্র গণ্ডির ভেতর না থেকে একটু বড় পরিসরে অনুভূতি প্রকাশ করতে চায়। প্রেমের মাধ্যমে মানুষ সহজেই অপর মানুষের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে।
নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে
নিজেকে একটু সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য মানুষ প্রেম করে থাকে। প্রেমে আকৃষ্ট করার জন্য পুরুষ নিজের চেহারায় একটু পরিবর্তন আনতে চায়। আর নারীও নিজেকে সাজায় পরিপাটি করে। কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর জন্য তারা নিজেদের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে আসে।
সৃজনশীল চিন্তার জন্য
অনেক মানুষ সৃজনশীল চিন্তা করার জন্য প্রেম করে থাকে। দেখা যায় নারী ও পুরুষ তাদের চিন্তার ক্ষেত্রে যোগসূত্র খুঁজে পেলে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নেয়। একসঙ্গে দুজন প্রকাশ করতে থাকে তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা। এতে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা গভীর হয়।
সহানুভূতি লাভের জন্য
বিপদাপদের সময় পাশে থেকে কেউ সহানুভূতি দেবে এমন আশায়ও প্রেম করে থাকে অনেকে। চোখ দেখেই মনের কথা বুঝে নেয়ার নাম প্রেম। প্রেমের ভেতর একে অপরের প্রতি সহানুভূতি না থাকলে সেই প্রেম স্থায়ী হয় না। আর মানুষ অন্য মানুষের কাছ থেকে সবসময় সহানুভূতি পেতে চায়।
এইচএকে/এইচএন/এএ