পুদিনা পাতা খাবেন কেন?
পুদিনা পাতা নানা গুণে ভরা। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রুচি বৃদ্ধিতেও কার্যকরী এই পাতা। বিভিন্ন ধরনের চাটনি, সালাদ, বোরহানি কিংবা চা তৈরি করা যায় এই পাতা দিয়ে। এটি বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় আবার এর উপকারিতাও অনেক। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে পুদিনা পাতার ব্যবহার বেশ পুরনো। পুদিনা পাতায় আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি এবং এ। এতে কোনো কোলেস্টেরল নেই; চর্বি ও ক্যালরির মাত্রা কম।
ক্লান্তিভাব দূর করতে কাজ করে পুদিনা পাতা। এটি পিষে রস বের করে তার সঙ্গে দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে ক্লান্তিবোধ অনেকটাই কেটে যাবে। আবার ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতেও কাজ করে পুদিনা পাতা। তাজা পুদিনা পাতা পিষে কিছুক্ষণ মুখে রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্তভাব দূর হবে, সেইসঙ্গে বন্ধ হবে ব্রণ ওঠাও।
কেউ হঠাৎ জ্ঞান হারালে তার নাকের কাছে কিছু পুদিনা পাতা ধরে দেখুন, এতে জ্ঞান ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার ধরুন, খুব শরীর ব্যথা হলে পুদিনার চা সেই ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। মাথা ব্যথা কিংবা পেট ব্যথা নিরাময়েও কার্যকরী এটি।
হেঁচকি ওঠার সমস্যা সমাধানে কাজ করে পুদিনা পাতা। আপনার যদি হেঁচকি ওঠার সমস্যা থাকে তবে পুদিনা পাতার সঙ্গে গোল মরিচ পিষে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। এতে হেঁচকি বন্ধ হবে সহজেই। ব্যথানাশক হিসেবে পুদিনার খ্যাতি আছে। যেকোনো ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতা খেতে পারেন। এটি স্নায়ু শান্ত রাখতেও কাজ করে।
মুখে মেছতার সমস্যা থাকলে পেঁপের সঙ্গে পুদিনা পাতা বেটে ব্যবহার করুন। ব্রণ দূর করতেও কার্যকরী এই পাতা। পুদিনা পাতা বেটে ব্রণের স্থানে ব্যবহার করুন। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ দূর হবে সহজেই।
হজমের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী পুদিনার চা। এটি পেট ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়। পুদিনার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এক্ষেত্রে সহায়তা করে। ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয় উপকারী এই পাতা। অ্যাজমা কিংবা কাশির সমস্যায়ও এটি কার্যকরী। গরম পানিতে পুদিনা পাতা ফুটিয়ে তার ভাপ নিলে উপকার পাওয়া যায়।
এইচএন/এএ