ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করবে যেসব খাবার
এখন পরিচিত এক আতঙ্কের নাম ডায়াবেটিস। এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। এই রোগ হতে পারে আরও অনেক অসুস্থতার কারণ। এটি এক ধরনের বিপাকীয় প্রক্রিয়া সংক্রান্ত অসুখ। ডায়াবেটিস দেখা দিলে শরীর প্রয়োজনীয় ইনসুলিন উত্পাদনে অক্ষম হয়ে যায়। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়।
কারও শরীরে ডায়াবেটিস ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা তাকে প্রথমেই নিষেধ করেন মিষ্টি খেতে। সেইসঙ্গে বদলে যায় তার প্রতিদিনের খাওয়ার রুটিনও। ইনসুলিন ইনজেকশন হয়ে ওঠে তখন অন্যতম সহায়ক। প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন না দিয়েও স্বাস্থ্যকর উপায়েই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সেজন্য বাড়তি কোনো খরচও করতে হবে না। এমন চারটি খাবার আছে যা নিয়ম মেনে খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ডায়াবেটিসে গম উপকারী
গম কিংবা গমের তৈরি খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন এই শস্য। সাদা ভাত বা ময়দার তৈরি রুটির বদলে খান গমের আটার রুটি। নিয়মিত গমের আটার রুটি খেলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। দিনে কতটুকু গম আপনার খাদ্য তালিকায় থাকবে তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন।
করলাও উপকারী
স্বাদে তেতো হলেও উপকার কিন্তু মিষ্টি। বলছি করোলার কথা। তেতো বলেই অনেকেই খেতে চান না এই সবজি। আপনি যদি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে করলার সাহায্য নিতে পারেন। করোলায় থাকা উপকারী নানা উপাদান অ্যান্টি ডায়েবেটিক ও ইনসুলিন ইনজেকশনের থেকেও বেশি কার্যকরী। চিকিৎসকেরা বলছেন, কাঁচা করলা বা করলার রস নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস রাখা সহজ হবে।
কুমড়োর বীজ ফেলে দেবেন না
বাড়িতে কুমড়ো রান্না হলে মনে করে তার বীজগুলো রেখে দেন তো? না-কি অন্যান্য ময়লার সঙ্গে চলে যায় ডাস্টবিনে? আপনার বাড়িতে যদি ডায়াবেটিসের রোগী থাকেন তবে এখন থেকে কুমড়োর বীজ ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করুন। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এমন হলে মিষ্টি কুমড়ার কয়েকটি বীজ মুখে পুড়ে নিন। এতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমবে। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রাও।
সবুজ রঙের শাক-সবজি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে সবুজ শাক-সবজি। চিকিৎসকদের মতে সবুজ রঙের যেকোনো শাক বা সবজি বিশেষ করে পালং শাক বা মুলো শাক রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। আপনি যদি ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন তাহলে এখন থেকে সবুজ রঙের শাক-সবজি রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়।
এইচএন/এএ