আমন্ড খাবেন যে কারণে
হুটহাট ক্ষুধা পেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাস অনেকের। তবে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষেরা স্বাস্থ্যকর খাবারই খুঁজে বের করেন। অফিসে কাজের ফাঁকে কিংবা বিকেলের নাস্তায় খাওয়া যায় এমন একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হলো আমন্ড।
হাতের নাগালেই থাকা এই খাবার খেলে শরীরের অনেক সমস্যা থেকেই দূরে থাকা সম্ভব। শুধু ডেজার্টের সঙ্গে নয়, বরং আমন্ড কাঁচা খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাতে মিলবে বেশি উপকার। তবে খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত খেয়ে ফেলবেন না! দিনে একমুঠো খেলেই যথেষ্ট।
আমন্ডের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিগুণে ভরা আমন্ড। উপকারী এই বাদামে আছে ম্যাগনেসিয়াম কপারের মতো খনিজ পদার্থ। এছাড়াও আছে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও নানা ভিটামিন। এসব উপাদান আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয়। আমন্ডে ভিটামিন ই এর পরিমাণ রয়েছে বেশি মাত্রায়। তাই নিয়মিত আমন্ড খেতে পারলে ভিটামিন ই এর অভাবজনিত রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।
স্ট্রেস দূর করে
দিনের হাজারটা কাজ, নানা ব্যস্ততার পরে আসে ক্লান্তি। সেখান থেকে দেখা দেয় স্ট্রেস। স্ট্রেস কোনো সাধারণ সমস্যা নয়। এর ফলে আমাদের কোষের ক্ষতি হতে পারে। আমন্ডে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মৃতপ্রায় কোষগুলোকেও সুস্থ করে তোলে। শুধু তাই নয়, ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া ঠেকাতে পারে আমন্ড। ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না সহজে। এছাড়াও প্রদাহজনিত ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এই বাদাম।
ম্যাগনেসিয়ামের উৎস
আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো ম্যাগনেসিয়াম। আমন্ড খেলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়। পঞ্চাশ গ্রাম আমন্ডে দেড়শো গ্রামের মতো ম্যাগনেসিয়াম থাকে। শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি না থাকলে ইনসুলিনের কাজও স্বাভাবিক হয়। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ দূরে থাকে
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রেই। এই সমস্যার হাত ধরে আসে আরও অনেক অসুখ। উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ হলো শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব। যেহেতু আমন্ড ম্যাগনেসিয়ামে ভরা, তাই নিয়মিত আমন্ড খেলে শরীরে এই প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়। সেইসঙ্গে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপও।
প্রোটিন ও ফাইবারের উৎস
প্রোটিন ও ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদান। প্রোটিন কিংবা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পেট দীর্ঘ সময় ভরা থাকে। আমন্ডে এই দু’টি উপকারী উপাদান রয়েছে যথেষ্ট। তাই ক্ষুধা পেলে একমুঠো আমন্ড খেয়ে নিন। তাহলে অনেক সময় পেট ভরা থাকবে এবং বার বার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এতে আপনার ওজন খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এইচএন/এএ