মনের জোরে এগিয়ে বয়স্করা!
মনের জোরের দিক থেকে বয়স্করা এগিয়ে রয়েছেন। এশিয়ান জার্নাল অব ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিভিন্ন বয়সের করোনা আক্রান্ত রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, সুস্থ হওয়ার পর অনেকেই অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস পার করেছেন। তবে বয়স্করা নয়, তরুণরাই বেশি অবসাদগ্রস্ত হচ্ছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে দুশ্চিন্তার হার ৭৭ শতাংশ, অবসাদের হার ৮৪ শতাংশ ও স্ট্রেসের হার ৫৪ শতাংশ। বয়স কমার সঙ্গে সঙ্গে এ হার বাড়ছে।
গবেষকরা জানান, তার কিছু করোনা রোগীকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের গবেষণায় অংশ নিয়েছেন ৭৫ জন পুরুষ ও ১৯ জন নারী। তাদের সবার বয়স ১৯ থেকে ৮২ বছরের মধ্যে রয়েছেন। তারা মোট ২১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। এসব উত্তরের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসে করোনা পরিস্থিতিতে বয়স্করাই মনোবল দৃঢ় রাখতে পারছেন।
গবেষকরা আরও জানান, ‘হাসপাতালে ভর্তি ও আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীদের নিয়ে অনেকেই গবেষণা করেছেন। তখন অবসাদ, দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেসের হার একেবারেই কম ছিল। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি দিন যত এগোবে, এ হার ততই বাড়বে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অবসাদগ্রস্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো আশেপাশের রোগীদের দুর্দশা বা মৃত্যু দেখা এবং পারিবারিক অবস্থার কথা চিন্তা করা।’
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন বার বার আশেপাশের মানুষের মৃত্যু হতে দেখলে স্বাভাবিকভাবে যে কেউই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এ গবেষণায় তরুণদের তুলনায় বয়স্করা মনোবল শক্ত রাখতে পারছেন।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি অনেক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে- সেটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক গবেষণা হয়েছে। চিকিৎসক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনাও কম হয়নি। সেসব গবেষণায় বলা হয়, প্রাণহানির ভয়, আর্থিক অনিশ্চয়তাসহ আরও বিভিন্ন কারণে হাসপাতালে ভর্তি ও আইসোলেশনে থাকা করোনা আক্রান্তরা উদ্বিগ্ন হচ্ছেন।
এইচএকে/এএ