শীতে শুকনো এপ্রিকট খাবেন যে কারণে
শুকনো ফলের উষ্ণতা এবং উপকারিতা উপভোগ করার জন্য শীতকাল হলো আদর্শ সময়। ছোট সোনালি ফল এপ্রিকট। এটি কেবল সুস্বাদু নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। যা শীতের মাসগুলোতে আমাদের শরীরকে অনন্য উপায়ে সাহায্য করে। শীতকালীন খাদ্যতালিকায় শুকনো এপ্রিকট যোগ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
১. শীতে শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল হয়
শীত ত্বককে শুষ্ক এবং ফ্ল্যাকি করে তোলে। ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ শুকনো এপ্রিকট ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে এবং এর প্রাকৃতিক আভা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, শুকনো এপ্রিকটে রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন, যা ত্বককে রক্ষা করে। এটি রোদে পোড়া এবং বলিরেখার ঝুঁকি কমায়। এই ফলেতে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের হাইড্রেশন এবং স্থিতিস্থাপকতায় সহায়তা করে।
২. শীতকালীন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শুকনো এপ্রিকট ভিটামিন সি এর মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিনে ভরপুর থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ২০২২ সালে করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিডায়াবেটিক, হেপাটোপ্রোটেকটিভ, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল সামগ্রীর কারণে এপ্রিকটের অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। এতে আয়রন এবং পটাসিয়ামও রয়েছে, যা রক্তের স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক শক্তির মাত্রা উন্নত করে শীতকালীন সর্দি এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে শক্তিশালী রাখে।
৩. শীতকালীন হজমের সমস্যার প্রাকৃতিক প্রতিকার
শীতের কারণে প্রায়ই শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায় এবং ভারী খাবার হয়, যার ফলে হজমের সমস্যা হয়। শুকনো এপ্রিকটের খাদ্যতালিকাগত ফাইবার প্রাকৃতিক রেচক হিসাবে কাজ করে, স্বাস্থ্যকর হজম বজায় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
৪. প্রাকৃতিক উষ্ণতা
শুকনো এপ্রিকটকে উষ্ণতা বৃদ্ধিকারী খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার অর্থ এটি শীতকালে শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি শক্তির মাত্রা বজায় রাখে, যা ঠান্ডার দিনে শরীরকে আরামদায়ক এবং সক্রিয় রাখে।
৫. শীতের চাপ থেকে চোখকে রক্ষা করে
শীত এবং স্ক্রিন টাইম চোখের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। হিলিং ফুডস অনুসারে এই শুকনো ফল বিটা-ক্যারোটিন উপাদান সমৃদ্ধ, যা বার্ধক্যজনিত কারণে সৃষ্ট চোখের সমস্যায় উপকার করে। শুকনো এপ্রিকট, লুটেইন এবং জিক্সানথিন সমৃদ্ধ। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে এবং সুস্থ দৃষ্টি বজায় রাখার মাধ্যমে চোখকে রক্ষা করে।
এইচএন