ফুলকপি খেলেই গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়? পরিত্রাণের উপায় জেনে নিন
শীতকালে ফুলকপি খাবেন না, তা কি হয়? কিন্তু নিয়মিত এই সবজি খেলে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না মঙ্গল, তা জেনে নেওয়াও দরকার। না হলে কতটা বেশি খাওয়া যেতে পারে এই সবজি, সে চিন্তা থেকে যায় মনে।
এই সবজির কিন্তু নানা রকম গুণ আছে। বলতে গেলে ফাইবারে ভরপুর। এতে ক্যালরির মাত্রা কম। ওজন ঝরানোর ডায়েটেই এই সবজি রাখা যেতেই পারে। ফুলকপিতে আছে ক্যালশিয়াম এবং ফ্লোরাইড। এই দুটি উপাদান হাড় ও দাঁত শক্ত রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে সালফোরাফেন আছে, যা হৃদ্রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ভিটামিন বি, সি এবং কে রয়েছে ফুলকপিতে। এই তিনটি উপাদানই শরীরের প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে এই এতে। তার প্রভাবে বাড়ে দৃষ্টিশক্তি। চোখ সুস্থ রাখতেও ফুলকপি খাওয়া জরুরি।
তবে অনেকেই আছেন যারা ফুলকপি খেলেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। এর কারণ হলো যে ফুলকপিতে অন্যান্য ক্রুসিফেরাস শাকসবজি যেমন কেল এবং ব্রুকলির মতো রাফিনোজ এবং অন্যান্য অলিগোস্যাকারাইড থাকে। এগুলো এক ধরনের শর্করা, যা অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা গাজন না হওয়া পর্যন্ত অপাচ্য থাকে এবং গ্যাস তৈরি করে। এর ফলে পেট ফুলে যায়, কারও কারও তলপেটে ব্যথা শুরু হয়। তবে রান্নার সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে অবশ্য গ্যাসের সমস্যা খানিকটা হলেও এড়িয়ে চলা সম্ভব। জেনে নিন, কোন কোন পন্থা মেনে চললেই হবে মুশকিল আসান।
১. ফুলকপি রান্নার আগে ভালো করে ভাপিয়ে নিয়ে সেই পানি ফেলে দিতে হবে। ভাপানো ফুলকপি অল্প তেলে ভালো করে ভেজে নিয়ে তার পরেই রান্না করুন।
২. ফুলকপি রান্নার সময় হজমে সাহায্যকারী কিছু মশলাপাতি যেমন জিরা, মৌরি, হিং, ধনে, আদা ব্যবহার করুন। এতে রান্নার স্বাদও বাড়বে আর পেটফাঁপার সমস্যাও এড়িয়ে চলতে পারবেন।
৩. পানি খেলেও কিন্তু হজমের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যে দিন ফুলকপি খাবেন সে দিন বেশি করে পানি খেতে ভুলবেন না যেন। শুধু পানি খেতে ইচ্ছে না করলে ভেষজ চা, মৌরি ভেজানো পানিও বার বার করে খেতে পারেন।
৪. প্রোবায়োটিক খাবার হজমে সাহায্য করে। দই প্রোবায়োটিকের খুব ভালো উৎস। তাই ফুলকপি রান্নার সময় দই ব্যবহার করা যেতে পারে। আর রান্নায় ব্যবহার না করলেও খাওয়ার পর দই খেয়ে নিলেও উপকার পাবেন।
এসএম/এসএম