ফার্মান্টেড যে খাবারগুলো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ
প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করতে শর্করা এবং স্টার্চ ভেঙে দেয়। এই প্রক্রিয়া শুধু খাদ্য সংরক্ষণই করে না, সেইসঙ্গে এতে উপকারী এনজাইম, বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাট এবং একগুচ্ছ ভালো ব্যাকটেরিয়া যোগ করে। এই প্রোবায়োটিক অণুজীবগুলো অন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আপনি কি জানেন অনেক খাবারই রয়েছে যেগুলো প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ? এই খাবারগুলো অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. দই
ওজি প্রোবায়োটিক খাদ্যদই ল্যাকটোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্যাকটেরিয়ামের মতো ব্যাকটেরিয়া দিয়ে দুধকে গাঁজন করে তৈরি করা হয়। দই সব জায়গায় পাওয়া যায় এবং এটি দিয়ে নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়। দই ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন দিয়ে পূর্ণ।
২. কিমচি
কোরিয়ান খাবার কিমচি হলো একটি মসলাদার, ফার্মান্টেড ভেজিটেবল ডিশ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি বাঁধাকপি এবং মূলা দিয়ে তৈরি করা হয়, যা ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া দিয়ে পরিপূর্ণ। এটি কোরিয়ান খাবারের একটি প্রধান উপাদান এবং এর জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে।
৩. পিকেল
যখন শসা লবণ পানির ব্রিনে ফার্মান্টেড করা হয় ( ভিনেগার মেশানো নয়), তখন সেটি একটি দুর্দান্ত প্রোবায়োটিক উৎস হয়ে ওঠে। এই ট্যাঞ্জি ও সুস্বাদু শসা যেকোনো খাবারে প্রোবায়োটিক পাঞ্চ যোগ করে।
৪. টেম্পেহ
এই ফার্মান্টেড সয়াবিন একটি প্রোটিন-প্যাক, যা বাদামের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়াটি প্রোবায়োটিক যোগ করে এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ায়, এটি নিরামিষাশীদের জন্য বেশ উপকারী একটি খাবার।
৫. ইডলি
ইডলি হলো চাল এবং এক ধরনের ডালের মিশ্রণ। ফার্মান্টেড এই ব্যাটার ইডলি এবং দোসাকে হালকা, তুলতুলে টেক্সচার দেয়। এতে থাকে অন্ত্র-বান্ধব উপকারী জীবাণু।
এইচএন