শীতে গাঁটের ব্যথা ও পেশিতে টান সারাতে যা করবেন
কনকনে শীত। পা ঠান্ডা হয়ে অবশ হয়ে যাওয়া কিংবা পেশিতে টান ধরা সমস্যা এবং গাঁটের ব্যথা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে। এমনকি ঘুমের মধ্যেও এ সমস্যা হতে পারে। আবার ঘুম থেকে উঠতে গেলে কিংবা সকালে হাঁটতেই পায়ের শিরায় টান ধরতে পারে। কখনও হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই বেঁকে যায় পায়ের আঙুল। যে দিকেই সরাতে যাচ্ছেন, ব্যথা করছে।
ঘুমের মধ্যে পায়ের রগ টান খেলে ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়। তখন অনুভব করলেন পা নাড়াতে পারছেন না। অথচ কী করলে ব্যথা কমবে বুঝতেও পারছেন না। এরই মধ্যে দেখছেন পায়ের আঙুল বেঁকে যাচ্ছে। পা টান করা যাচ্ছে না। একইভাবে টান ধরতে পারে কোমর, পিঠ, ঘাড় কিংবা হাতেও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়, শীতে অলসতা বাড়ে, চলাফেরা ও কাজকর্মও কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের বিভিন্ন ব্যথা বাড়াতে প্রভাব ফেলে।
পেশিতে টান এবং গাঁটের ব্যথা একটু অসতর্ক হলেই এ দুই সমস্যা সহজে এড়ানো সম্ভব। শীতকালে শরীরচর্চা করতে আলস্য লাগলেও নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। হাঁটা-চলা, সাঁতার কাটা, দৌড়ানো, জগিং এইসব সাধারণ একসারসাইজ করলে জয়েন্ট পেন বা গাঁটের ব্যথা কমতে পারে। হাল্কা ধরনের শরীরচর্চা করলে আপনার শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট বা গাঁট অংশ আর শক্ত হয়ে থাকবে না। ফলে ব্যথাও কম হবে।
এছাড়া শীতকালে হাল্কা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। যে অংশে ব্যথা সেখানে গরম সেঁক দিন। এত আরাম পাবেন। গরম পানিতে গোসল এবং ব্যথার জায়গায় গরম সেঁক দিতে পারলে শরীরের বিভিন্ন গাঁট অংশে এবং পেশির শক্তভাবে কমবে। সারা শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
শীতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে বেশি করে। এই জাতীয় খাবার খেলে শরীরের বিভিন্ন পেশি শিথিল থাকে এবং হাড়ের গঠন মজবুত হয় ও ব্যথা-যন্ত্রণা কমে থাকে।
শীতকালে পানি খাওয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখানো উচিত নয়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে পেশীতে টান ধরবে, গাঁটের যন্ত্রণা বাড়বে। তাই শীতের দিনে পানি খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
শীতকালে ঠান্ডা বাড়লে জয়েন্ট পেন বা গাঁটের ব্যথা বেড়ে যায়। প্রয়োজনে অবশ্যই ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
এমএন