ক্যালরিযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে ফেললে যা করবেন
আমাদের অনেকের জন্য উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার উদ্বেগের কারণ হতে পারে। পছন্দের কেক বা পিজ্জা খাওয়ার পরে রীতিমতো অপরাধবোধ কাজ করতে থাকে অনেকের। এরকমটা আপনারও অনেক সময় হয়, তাই না? যদি আপনি ওজন কমানোর ডায়েটে এটি করেন তবে অপরাধবোধ আরও তীব্র হতে পারে। যদিও এমনটা মনে হওয়া স্বাভাবিক, তবে এটি নিয়ে অতিরিক্ত চাপ নেওয়ার দরকার নেই। ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে নিজেকে দোষী ভাবার দরকার নেই। এ ধরনের খাবার খাওয়ার পরে কয়েকটি কাজ করলেই আর ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না।
১. হাইড্রেটেড থাকা
আমরা সবাই জানি যে হাইড্রেটেড থাকা কতটা প্রয়োজনীয়। উচ্চ ক্যালোরি খাবার খাওয়ার পরে পানি আপনার সেরা বন্ধু হতে পারে। কেন? পুষ্টিবিদদের মতে, পানি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতে সাহায্য করে এবং পানি ধারণ কমায়। অন্তত ৫০০ মিলি পানি দিয়ে দিন শুরু করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২. উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান
উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার আপনার ক্যালোরি ঝরানোর গতি বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হজমকে সহায়তা করে এবং প্রদাহ কমায়। খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যেমন সবুজ শাক-সবজি এবং ফ্ল্যাক্সসিড যোগ করুন। প্রতিদিন ২৫-৩০ গ্রাম ফাইবার খান।
৩. চর্বিহীন প্রোটিন খান
খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত চর্বিহীন প্রোটিন যোগ করতে হবে। টোফু, পনির এবং লেগুম সবই দুর্দান্ত বিকল্প। চর্বিহীন প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট পূর্ণ রাখে। ভাবছেন আপনার শরীরের জন্য কতটা চর্বিহীন প্রোটিন প্রয়োজন? প্রতি কিলোগ্রাম শরীরের ওজনে প্রায় ০.৮-১ গ্রাম প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
৪. খাবার এড়িয়ে যাবেন না
উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার পরে আমাদের মধ্যে অনেকেরই এটি সবচেয়ে সাধারণ ভুল। খাবার এড়িয়ে গেলে তা আপনার শরীরের উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। খাবার এড়িয়ে গেলে তা বিপাককে ধীর করে দিতে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এটি পরে প্রচুর খাওয়ার কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে অবশ্যই সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
এইচএন