ফাইবার সমৃদ্ধ যে খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া উচিত
আমরা বেশিরভাগই মনে করি যে উচ্চ-প্রোটিন, উচ্চ-ফাইবার বা অন্যান্য পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া কঠিন হতে পারে। কিন্তু আমাদের আমাদের পরিচিত অনেক খাবারই এই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। নিয়ন্ত্রিত ওজন, ভালো হজম, এমনকী হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চান তবে আপনার ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। সেজন্য দূরে যাওয়ার দরকার নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফাইবার সমৃদ্ধ পরিচিত কিছু খাবার সম্পর্কে-
১. মসুর ডাল
উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিনের উচ্চ উৎস হওয়ার পাশাপাশি মসুর ডাল ফাইবারেও সমৃদ্ধ। এটি আমাদের খাবারের তালিকায় নিয়মিতই থাকে। ডালে পাওয়া ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘায়িত শক্তি এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
২. কলা
কলা ফাইবারের একটি উচ্চ উৎস। কলায় পাওয়া অদ্রবণীয় ফাইবার হজমকে ধীর করার প্রবণতা রাখে যার ফলে কলা খেলে তা দীর্ঘ সময়ের পেট পূর্ণ করে রাখে। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি গবেষণা অনুসারে, কলার মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কার্ডিওভাসকুলার এবং করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন
৩. গোটা শস্য
গোটা শস্যের অসংখ্য উপকারিতার মধ্যে একটি হলো এটি অদ্রবণীয় ফাইবারের কার্যকরী উৎস। অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটির করা একটি স্ট্যাডিতে বলা হয়েছে হয়েছে যে, গোটা শস্যের মতো উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার টাইপ ১ ডায়াবেটিসের সূত্রপাত থেকেও রক্ষা করতে পারে।
৪. বার্লি
বার্লিতে (বা জাউ) উপস্থিত ফাইবার বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটিতে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বার্লিতে পাওয়া ফাইবার ক্ষুধা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। গবেষকরা আরও বলেছেন যে বার্লি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে
৫. বাদাম
বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ যা আপনার পেট দীর্ঘ সময় পূর্ণ রাখে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডা দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে পেস্তা স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। এটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
এইচএন