প্রতিদিনের ক্ষতিকর ৫ অভ্যাস
আমাদের দৈনন্দিন রুটিন আমাদের জীবনের গতিপথ গঠন করে। কিছু অভ্যাস আমাদের বেড়ে উঠতে এবং উন্নতি করতে সাহায্য করে, আবার কিছু অভ্যাস নীরবে আমাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। সেই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে পারলে সুস্থ ও সুন্দর থাকা সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিনের ক্ষতিকর ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে-
১. শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকা
অলস ও অ-সক্রিয় জীবনধারা একাধিক উপায়ে ক্ষতিকারক হতে পারে। নড়াচড়ার অভাব পেশী দুর্বল করে, বিপাককে ধীর করে দেয় এবং হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। প্রতিদিনের হাঁটা বা স্ট্রেচিংয়ের মতো ছোট পদক্ষেপ আপনাকে সুস্থ মানুষ হওয়ার দিকে অনেক দূর যেতে পারে।
২. পর্যাপ্ত হাইড্রেটিং না থাকা
প্রায় প্রতিটি শারীরিক ক্রিয়াকলাপের জন্য পানি অত্যাবশ্যক। ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন কিডনি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং আপনার ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে। সারাদিন নিয়মিত পানি পান করার অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন
৩. সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া
সকালের খাবারকে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হিসাবে পরিচিত করার একটি কারণ রয়েছে। এটি আপনার বিপাক শুরু করে এবং দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবারটি কখনোই বাদ দেওয়া উচিত নয় কারণ এটি শক্তি কমিয়ে দেয়, মনোযোগ দুর্বল করে এবং বিকেলে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হতে পারে।
৪. ঘুমের রুটিন ঠিক না থাকা
ঘুমের অভাবের বিপজ্জনক পরিণতি রয়েছে যা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি মস্তিষ্কের ফাংশন থেকে মানসিক নিয়ন্ত্রণ সবকিছুকে প্রভাবিত করে। ঘুমের রুটিন ঠিক না থাকলে বা অপর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস হৃদরোগ, স্থূলতা এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ায়।
৫. নেতিবাচক চিন্তা
জীবন সম্পর্কে আপনার অনুভূতি আপনার মানসিকতা গঠন করে। ক্রমাগত নেতিবাচকতা স্ট্রেস এবং উদ্বেগের জন্ম দেয়, যা মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বজায় রাখা এবং কৃতজ্ঞতার চর্চা করা অপরিহার্য।
এইচএন