নারীর পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে যে ৫ খাবার
নারীর পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কিছু খাবার বেশ সহায়ক হতে পারে। এই খাবারগুলোর শরীরে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখার, হজমের উন্নতি এবং পরিপাকতন্ত্রকে পুষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে। তাই এসব খাবার খেতে হবে নিয়মিত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীই তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদাসীন। আর এ কারণেই ছোট সমস্যা অনেক সময় বড় আকার ধারণ করে। তাই আগেভাগে জানা থাকলে নিজের যত্ন নেওয়া সহজ হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, নারীর পেটের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার সম্পর্কে-
১. ঘি
ঘিকে ভোজ্য চর্বির সবচেয়ে পুষ্টিকর ফর্ম হিসাবে মনে করা হয়। এটি শরীরে পুষ্টির হজম, শোষণ এবং ব্যবহার বাড়ায়। পরিপাকতন্ত্রের প্রলেপ দিয়ে ঘি আলসার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ঘিয়ের বিপাক বৃদ্ধি করার ক্ষমতা ওজন নিয়ন্ত্রণ, অ্যাসিডিটি, পেটফাঁপা এবং আলসারের সমস্যা দূর করতে কাজ করে। এটি নারীদের বিপাকীয় ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত মাসিক সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
২. জিরা
জিরার বীজে উষ্ণতা বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি হজমের আগুনকে উদ্দীপিত করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি উন্নত শক্তির মাত্রা, বর্ধিত পুষ্টি শোষণ এবং হজমজনিত রোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। জিরার বীজ মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সমাধান দেয়। কার্যকরভাবে ক্র্যাম্প, পেটফাঁপা এবং মাসিকের আগে অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
আরও পড়ুন
৩. আঙুর
আঙুরের প্রাকৃতিক শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি অন্ত্রের গতিবিধি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং পাকস্থলী সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। এই ফল অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী প্রমাণিত। নারীদের রক্তপাতজনিত ব্যাধি এবং ভারী মাসিকের উপশম করতে সহায়তা করে আঙুর।
৪. রসুন
রসুন একটি অসাধারণ মসলা যা পাচনতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে নারীর স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকার করে, যার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। রসুন শরীরের সামগ্রিক বিপাককে উন্নত করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন পেট ফাঁপা, অনিয়মিত মলত্যাগ, মাসিক অনিয়ম, ডিসমেনোরিয়া এবং পলিসিস্টিক ডিম্বাশয়ের রোগের সমাধান করতে সাহায্য করে।
৫. চাল কুমড়া
চাল কুমড়া পাচনতন্ত্রের পুষ্টি ও ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। পেট ফাঁপা, ক্র্যাম্প এবং মেজাজের পরিবর্তনের মতো পিএমএস-এর লক্ষণ দূর করতে এটি বিশেষভাবে উপকারী। এর শীতল এবং শান্ত প্রভাব পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করার জন্য এবং বদহজমের মতো উপসর্গ দূর করার জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে মাসিকের সময় এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
এইচএন