বাচ্চাদের নিয়মিত মধু খাওয়ালে যেসব উপকার পাওয়া যাবে
মধুকে প্রকৃতির মিষ্টি অমৃত বলে অভিহিত করা হয়। এতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য-উপাদান রয়েছে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যগত চিকিৎসা অনুশীলনের একটি অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক বেশকিছু প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর এই মধু শুধু বড়দের জন্য নয়, বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এর অনেক গুণ রয়েছে। এক বছরের বেশি বয়সী বাচ্চার সামান্য অসুখে টোটকা হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিয়মিত মধু খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য কীভাবে ভালো থাকবে, কোন কোন সমস্যা সহজে দূর হবে দেখে নিন—
আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের খুব সহজে ঠান্ডা লেগে যায়। এক্ষেত্রে মূলত দেখা যায় কাশির সমস্যা। এর পাশাপাশি প্রবল সর্দি লেগে বুকে কফ জমে যাওয়ার সমস্যাও বাচ্চাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। এক্ষেত্রে অব্যর্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে মধু। বাচ্চাদের নিয়মিত মধু খাওয়াতে পারলে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লাগার প্রবণতা কমবে। আর যাদের ঠান্ডা লেগে থাকবে তাদের ক্ষেত্রেও আরাম পেতে, সর্দি-কাশি কমাতে সাহায্য করে মধু।
আরও পড়ুন
বিভিন্ন ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে এবং ক্ষত কমাতে সাহায্য করে মধু। এক্ষেত্রে হলুদ বাটার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায় খুব কম সময়ে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবার হজম হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রেও মধু ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে মধু খাওয়াতে পারেন বাচ্চাদের। ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, অ্যাসিডিটি এইসব সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে মধু।
মধুর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস অর্থাৎ খনিজ উপকরণ বাচ্চাদের শরীরে ভরপুর এনার্জির জোগান দেয়। বিশেষ করে শীতের মৌসুমের শুরু থেকে যদি বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো যায় তাহলে উপকার পাওয়া যায়।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার সামান্য হেরফের হলে পেটের সমস্যা দেখা যায়। সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে লিভারে। এক্ষেত্রেও ওষুধের কাজ করে মধু। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যে প্রচুর পরিমাণে মধু খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই বাচ্চাদের কতটা পরিমাণে মধু খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে সেই ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন।
এমএ