ছারপোকা থেকে বাঁচার উপায়
সব পোকাই কম-বেশি বিরক্তিকর। তবে এই তালিকার শীর্ষে আছে ছারপোকার নাম। এই পোকা একবার দেখা দিলে তা শান্তি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। এরা আকারে বেশ ক্ষুদ্র বলে খুব বেশি চোখেও পড়ে না। কিন্তু যে-ই না আপনি আরামের ঘুম ঘুমাতে যাবেন, অমনি লেপ-তোষকের মধ্য থেকে বের হয়ে কামড়াতে শুরু করবে। এই ক্ষুদ্র পোকার কামড় ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। এমনকী অনেক সময় এর কামড়ের কারণে ত্বকে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ছারপোকা রক্ত না খেলে বাঁচতে পারে না। তাই বাঁচার জন্যই আমাদের রক্ত পান করতে আসে। আর এদের পছন্দ হলো আমাদের আরামের জায়গাগুলো। অর্থাৎ লেপ-তোষক, বালিশ, সোফা, মশারি এসব জায়গায় বাসা বাঁধে ছারপোকা। এরা যে দিনের বেলায় কামড়ায় না তা নয়, তবে রাত হলে এদের আক্রমণ বেড়ে যায়। আমাদের অগোচরেই রক্ত শুষে খায়। মোট কথা আমাদের আরামের ঘুম নষ্ট করা হলো এদের প্রধান কাজ! ছারপোকা অনেকটা মশার মতো, কামড় বসানোর কিছুক্ষণ পরই স্থান ত্যাগ করে। এই নির্লজ্জ পোকা একবার বাড়িতে হলে আর দূর হতে চায় না। বিরক্তিকর এই পোকার হাত থেকে বাঁচার কিছু সহজ উপায় জেনে নিন।
তাপ দিন
ছারপোকা দূর করার একটি উপায় হতে পারে তাপ প্রয়োগ। তাপমাত্রা ১১৩ ডিগ্রি হলে এই পোকা বাঁচতে পারে না। তাই ছারপোকা দেখা দিলে চাদর, কাঁথা, বালিশের কভার, মশারি সব গরম পানিতে সেদ্ধ করে এরপর ধুয়ে ফেলুন। তোষক-বালিশ ধোয়া সম্ভব নয় তাই এগুলো কড়া রোদে রাখুন। ছারপোকা দূর হবে সহজেই।
তেলের ব্যবহার
ছারপোকা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন একটি বিশেষ তেল। এই তেল ছারপোকা দূর করতে সাহায্য করবে। যেসব জায়গায় ছারপোকা দেখা যাচ্ছে সেসব জায়গায় ল্যাভেন্ডার অয়েল স্প্রে করে দিন। এভাবে তিন-চার দিন করতে পারলে ছারপোকা দ্রুত পালাবে। এছাড়া কেরোসিন তেলের প্রলেপ দিলেও ছারপোকা দূর করা সহজ হয়।
ন্যাপথলিনের ব্যবহার
পোকা-মাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে ন্যাপথলিনের ব্যবহার বেশ পরিচিত। এটি ছারপোকা তাড়াতেও বেশ কার্যকরী। ন্যাপথলিন গুঁড়া করে যেসব স্থানে ছারপোকা দেখা যাচ্ছে সেসব স্থানে ছিটিয়ে দিন। এমনটা মাসে দুইবার করতে হবে। এতে ঘর ছারপোকা মুক্ত থাকবে।
দেয়াল থেকে দূরে
অনেক সময় দেয়ালের সঙ্গে বিছানা লাগানো হলে ছারপোকার আক্রমণ করা সহজ হয়। তাই ছারপোকা থেকে দূরে থাকতে দেয়াল থেকে দূরে রাখুন বিছানা। ঘুম থেকে ওঠার পরে এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে বিছানা পরিষ্কার করুন।