শাহরুখ খানের ফিটনেস রহস্য
স্বীকার করুন বা না করুন, আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়ে আমাদের প্রিয় সেলিব্রিটিদের ফিটনেস নিয়ে মুগ্ধ হয়েছি। আমরা সব সময় তাদের টোনড বডি এবং ফিটনেস দেখে আগ্রহী হই এবং নিজেরা একইরকম ফিট হতে পারবো কি না তা ভেবে থাকি। ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত ফিটনেস আইকনের মধ্যে যিনি তালিকার শীর্ষে রয়েছেন তিনি আর কেউ নন, শাহরুখ খান ওরফে বলিউডের কিং খান। তিনি নিজেকে শুধু ভারতে নয়, অন্যান্য দেশেও একজন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে কারণে তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়।
৫৮ বছর বয়সেও শাহরুখ খানের ফিটনেসের মাত্রা তুলনাহীন! যে কারণে আমরা সবাই তার ডায়েট এবং ফিটনেস রহস্যের দিকে নজর রাখতে পছন্দ করি। একটি ব্রিটিশ দৈনিক জার্নালে দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, শাহরুখ তার খাবার এবং ফিটনেস সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন-
দিনে একবেলা খাওয়া
হ্যাঁ, সুপারস্টার সারা দিনে মাত্র একবেলা খাবার খান! তিনি এটিকে তার ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে ট্যাগ করেছেন, কোনো নির্দিষ্ট খাদ্য পরিকল্পনার সঙ্গে যার সম্পর্ক নেই। দিনে একবেলা খাবার বা OMAD ডায়েট হলো এক ধরনের বিরতিহীন উপবাস যেখানে সারা দিনে শুধুমাত্র একটি খাবার খান। এটিকে ২৩:১ বিরতিহীন উপবাস উইন্ডো হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, যেখানে শুধুমাত্র এক ঘণ্টা খাবার খাওয়া হয় এবং তারপর সারা দিন ক্যালোরি গ্রহণ করা হয় না।
OMAD ডায়েটের সুবিধা এবং অসুবিধা
এটা বিশ্বাস করা হয় যে দিনে একবেলা খাবার খাদ্য ক্যালোরি গ্রহণ সীমিত করে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আপনি খাওয়ার উইন্ডোতে আপনার পছন্দের যেকোনো খাবার রাখতে পারেন, যে কারণে অনেক খাবারই এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়।
এই ডায়েট প্ল্যানের ঝুঁকি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, অনেক গবেষণা দেখায় যে ২৩ ঘণ্ট ধরে কোনো ক্যালোরি না খাওয়ার জন্য ক্লান্তি বা শক্তি কমে আসার মতো সমস্যা হতে পারে। এটি দুর্বলতা, রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস এবং ক্ষুধার অনুভূতির কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন
প্রতিদিন ৩০ মিনিট ওয়ার্কআউট
যদিও বেশিরভাগ অভিনেতারা দিনে কয়েক ঘণ্টার কঠোর ব্যায়াম করেন, তবে শাহরুখ প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন। যদিও এটা আপনার কাছে সহজ মনে হতে পারে তবে কিং খান কখনোই এই অভ্যাসের অন্যথা করেন না। অনেক সময় শুটিংয়ের কারণে সময় বের করতে না পারলে রাত ৩টায়ও জিমে যান। ক্লান্তিও তাকে হটাতে পারে না, ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে তিনি ব্যায়াম করে থাকেন।
শাহরুখ খানের ব্যস্ত সময়সূচী এবং সক্রিয় জীবনযাপন চলে বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনায়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ছাড়া কারোই কোনো রুটিন অনুসরণ করা উচিত নয়। কারণ একেকজনের শরীরের ধরন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা একেক রকমের হতে পারে। তাই কাউকে অনুসরণ করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এইচএন